হিলি সংবাদদাতা : দিনাজপুরের বাংলাহিলি বাজারে একটি চায়ের দোকানে দেখা মিলেছে বিরল প্রজাতির প্রজাপ্রতি। এ প্রজাপ্রতিটিকে এক নজর দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভিড় চায়ের দোকানে। প্রজাপতিটিকে শত শত মানুষের দেখার ভাগ্য হলেও প্রাণী সম্পদ কোন কর্মকর্তার দেখার সৈাভাগ্য হয়নি বা তাদের দেখাও পাওয়া যায়নি। হিলি বাজারের নিরমল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক নিরমল কুমার জানান, গত রোববার সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে তার দোকানে একটি প্রজাপ্রতি উড়ে এসে তার চায়ের দোকানের আলমারী সাইটে দেয়ালের সাথে এটে থাকে। প্রথমে বড় কোন পোকার মত দেখতে লাগলেও পড়ে ডানা মেলে দেয়ার পর বোঝা যায় এটি পোকা নয় প্রজাপ্রতি। প্রজাপ্রতিটি ধুসর রংঙের হওয়ার কারণে অনেকে বুঝতে পারেনি এটি প্রজাপ্রতি। অনেকে আবার মনে করেছেন এটি হয়ত বা মানুষের তৈরি কিন্তু প্রজাপ্রতিটি স্থান পরিবর্তন করার পর অনেকের সন্দেহ দূর হয়। আব্দুল ওহাব নামে এক বয়স্ক ব্যক্তি জানান, তিনি অনেক ধরনের প্রজাপ্রতি দেখেছেন কিন্তু এত বড় প্রজাপ্রতি তিনি এর আগে দেখেননি, প্রজাপ্রতিটির ডানায় ৪টি কাঁচের মতো গোল বৃত্ত রয়েছে। প্রজাপ্রতিটির আকার দীর্ঘ লম্বায় প্রায় সাড়ে ৬ ইঞ্চি চওড়ায় ৪ ইঞ্চি। অনেকে ধারণা করছেন বাজারের অনেক পুরাতন গাছ রয়েছে সেই গাছেয় প্রজাপ্রতিটি ছিল, সন্ধ্যার দিকে চায়ের দোকানে বিদ্যুতিক আলোয় প্রজাপ্রতিটি আকৃষ্ট হয়ে চলে এসছে। হাকিমপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ননী গোপাল বর্মন জানান, এ প্রজাপ্রতিটি বিরল প্রজাজাতির এটি তার জানা মনে দেশে দেখা যায়নি, হিলির পার্শ্ববর্তীদেশ ভারত হওয়ার কারণে সে দেশ থেকে প্রজাপ্রতিটি কোনভাবে দেশে আসতে পারে। তিনি অনেক ধরনের প্রজাপ্রতি দেখেছেন তবে এত বড় ও ধূসর প্রজাপ্রতি এর আগে কোথাও তিনি দেখেননি, এটিকে নিয়ে গবেষণা করার প্রয়োজন। হাকিমপুর উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার ইলিয়াস আলী জানান, এটি জায়ান্ট মথ গ্রুপের প্রজাপ্রতি তিনি ৩০ বছর আগে পাবনা জেলায় এ গ্রুপের একটি ছোট আকারে প্রজাপ্রতি দেখে ছিলেন, তবে এত বড় প্রজাপ্রতি তার দেখার সৈাভাগ্য হয়নি। তিনি জানান এটি বিরল জাতের প্রজাপ্রতি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন