কর্পোরেট ডেস্ক : নিম্নমুখী প্রবণতায় রয়েছে মূল্যবান ধাতু স্বর্ণের বাজার। বুধবার ধাতুটির দাম কমেছে দশমিক ২ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। সুদহার বাড়ানোয় নিম্নমুখী হয়ে উঠেছে স্বর্ণের বাজার। আর অন্য মূল্যবান ও শিল্পধাতুর বাজারে বিরাজ করছে মিশ্র প্রবণতা। নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) আউন্সে ১ ডলার ৯০ সেন্ট দাম কমেছে স্বর্ণের। এপ্রিলে সরবরাহ চুক্তিতে দশমিক ২ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ ডলার ৭০ সেন্টে। তবে এদিন লেনদেনের একপর্যায়ে ধাতুটির দাম বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ২১০ ডলার ৫০ সেন্টে উঠেছিল। ফ্যাক্টসেটের তথ্যানুযায়ী, গত শুক্রবার (১০ মার্চ) ধাতুটির সাপ্তাহিক বাজার শেষ হয়েছিল টানা নয়দিন দরপতনের মধ্য দিয়ে। এরপর সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে ধাতুটির দাম কিছুটা বাড়বে। নেদারল্যান্ডসের নির্বাচন ঘিরে বিদ্যমান অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যবান ধাতুটির দামে এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছিল। তবে এ দরবৃদ্ধিকে ক্ষণস্থায়ী হিসেবে অভিহিত করেছিলেন বাজার বিশ্লেষকরা। যুক্তি হিসেবে তারা বলছিলেন ফেডের সুহদার বাড়ানোর কথা। সুদহার বাড়ানো হলে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ডলার ধরে রাখার প্রবণতা বাড়বে। আর এর বিপরীতে ডলারের বিনিময়ে বিভিন্ন পণ্যের দরপতন হতে পারে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এর মধ্যে স্বর্ণও রয়েছে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে সুদহার দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছে ফেড। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে সুদহার দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছিল। ওই সময় ফেড ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল, সামনের দিনগুলোয় আরো অন্তত তিন দফায় সুদহার বাড়ানো হতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর প্রথমবারের মতো সুদহার বাড়ানো হলো দেশটিতে। ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও বাজার বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, চলতি বছর আরো দুই দফা, আগামী বছর তিন দফা ও ২০১৯ সালে তিন দফায় সুদহার বাড়ানো হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন