চট্টগ্রাম ব্যুরো : এ যেন বিআরটিসির কোন শাখা অফিস। কি নেই সেখানে- ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে যা যা লাগে তার সবকিছুই আছে তাদের কাছে। দেশের বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারদের সীল থেকে শুরু করে বিআরটিসিএর যাবতীয় সব কাগজপত্র রয়েছে। সেখানে বসে তৈরি করা জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স মোটা দামে কিনে নিচ্ছে চালকরা। নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন শুলকবহর এলাকার একটি বাড়িতে জালিয়াত চক্রের এমন একটি আস্তানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া ড্রাইভিং লাইন্সেস ও জাল সিলসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. শাহ আলম (৫৩), মো. সেলিম মিয়া (৪৮) ও মো. আলম (১৯)।
র্যাব-৭-এর সিনিয়র এএসপি মিনতানুর রহমান জানান, র্যাবের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশেকুর রহমানের নেতৃত্বে শুলকবহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া ড্রাইভিং লাইন্সেস ও জাল সিল উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাব জানায়, ওই চক্রটি অবৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে বিক্রি করে আসছিল। র্যাব সদস্যরা শোলকবর আল-মাদানী রোডে জনৈক ইদ্রিস মিয়ার কলোনীতে অভিযান চালায়।
সেখান থেকে ৪২টি বিভিন্ন ব্যক্তির নামীয় মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স, ৬টি জাতীয় পরিচয়পত্র, ৩০টি বাংলালিংক সিম, ৩৫টি বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার, থানার অফিসার ইনচার্জ, এসআই, এএসআই, বিআরটিএ অফিসার, সিটি কর্পোরেশন, মেডিকেল অফিসারসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে প্রস্তুতকৃত সীল, ২টি স্ট্যাম্প প্যাড, ১০০টি পেশাদার চালকের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, ৫৫৬টি অপেশাদার চালকের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, ৩০টি বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখা কর্তৃক ভিআর তদন্ত প্রতিবেদন ফরম (অপূরণকৃত), ২৫টি বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ইস্যুকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্সের শিক্ষানবিস ফরম, ২৫টি বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ পূরণকৃত পেশাদার চালকের লাইসেন্সের আবেদনপত্র, ৬০টি শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফরম, ৪টি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি কর্তৃক প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ, ৬০টি বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখা বরাবরে ইস্যুকৃত পেশাদার চালকের লাইসেন্সের আবেদন ফরম উদ্ধার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন