বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

স্বামীর নিষ্ঠুরতায় উর্মিলা দীপালী ও তপতি

প্রকাশের সময় : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৬ এএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : বগুড়ায় একটি ঘটনায় ২ হিন্দু নারী এবং অপর একটি ঘটনায় অপর এক ঘটনায় ১ মুসলিম নারীর শিশু সন্তানকে কৌশলে কেড়ে নিয়ে উধাও হয়েছে তাদের স্বামীরা। দুটি ঘটনাতেই দিশেহারা স্ত্রীরা স্বামীদের আকস্মিক ও নির্মম প্রতারণায় একেবারে দিশেহারা হয়ে দু’চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেছে।
প্রথম ঘটনার বিবরণে জানা গেছে বগুড়া সদরের ধাওয়াকোলা গ্রামের কর্মকার পাড়ার দুইভাই রাজ্য চন্দ্র কর্মকার ও বাবলু কর্মকার তাদের বাবা মা ও তিন সন্তানকে নিয়ে গোপনে ভারতে পালিয়ে গেলেও অসহায়ভাবে রেখে গেছে তাদের দুই স্ত্রীকে। যাবার সময় তাদের দোকান ও বাড়ি ঘর বিক্রি করে চলে যাওয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে তারা। এই আকস্মিক ভাগ্য বিড়ম্বনায় দিশাহারা রাজ্য চন্দ্র কর্মকারের স্ত্রী দীপালি রানী কর্মকার ও বাবলু কর্মকারের স্ত্রী তপতি রানী কর্মকার গতকাল দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে তাদের দূর্গতির কথা জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিকার চাইলেন। তারা জানান গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পাশর্^বর্তী কাগইল গ্রামে কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে তাদের শ^শুর শ^াশুড়ি ও দুই জায়ের তিন সন্তানকে নিয়ে রাজ্য কর্মকার ও বাবলু কর্মকার বাড়ি থেকে বের হয়। পরদিন সকালে তাদের বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও তারা আর ফেরেনি। উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্য কর্মকার বাংলাদেশে ফেলে রেখে যাওয়া স্ত্রী দীপালি রানী কর্মকারকে মোবাইল ফোনে গোপনে ভারতে চলে যাওয়ার খবর জানায়। সেই সাথে দীপালি রানীকে এই বলে সর্তক করে দেয় যে তাদের ভারতে চলে যাওয়ার কথা প্রকাশ করা হলে তাদের সাথে নিয়ে যাওয়া তিন কন্যা রিংকী (৮), পিংকি ( ৫) ও টুসু (৪) কে ভারতে বিক্রি করে দেওয়া হবে।” সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত ক্েন্ঠ দীপালি ও তপতি রানী এই নির্মম প্রতারণা ও বিশ^াসঘাতকতার প্রতিকার এবং তাদের বুক থেকে ছিনিয়ে নেয়া শিশু কন্যাদের ফেরত চেয়ে প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চাইলেন।
অন্য ঘটনায় জানা গেছে , চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার মুছাপুর গ্রামের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার উর্মিলা ২০১১ সালে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী থাকা কালে মোবাইল ফোনের প্রেম সূত্রে মহিমাগঞ্জের হাফিজুর নামে এক যুবকের প্রেমে পড়ে ঘর ছেড়ে বগুড়ায় এসে বিয়ে করে সংসার শুরু করে। কিন্তু বিয়ের পর পরই স্বপ্নের স্বামীর অপরাধী স্বরূপ যখন প্রকাশ হয়ে পড়ে তখনই তার মোহমুক্তি ঘটতে থাকে। স্বামী তাকে টাকা কামাইয়ের জন্য অসৎ ও জঘন্য পথ অবলম্বন করতে বলে তখন শুরু হয় দাম্পত্য বিরোধ। এই বিরোধের মধ্যেই তাদের ঘরে আশির উদ্দিন এক সন্তান আসে। বর্তমানে সাড়ে ৩ মাস বয়সী ওই শিশুটিকে নিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি উধাও হয়েছে উর্মির স¦ামী। এর আগেই সে (উর্মিলার স্বামী) উর্মিলার সব স্বর্ণালঙ্কার ও দামী জিনিসপত্র কৌশলে কাগইল মিরপুর পল্লীর ভাড়া বাসা থেকে সরিয়ে নিয়েছিল। পরে মোবাইল ফোনে সে উর্মিলাকে জানিয়ে দিয়েছে যেন এরপর নিজের পথ নিজেই বেছে নেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন