শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না : মমতা

| প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হোস্টেল থেকে ভাস্কর্য সরানোর দাবি সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের কলকাতার বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থাপিত আবক্ষ ভাস্কর্য সরিয়ে দেওয়ার দাবি নাকচ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের দুই বাংলার প্রেরণা। তার ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না। কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস কলকাতায় উদ্যাপিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো, বিশেষ মোনাজাত, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্যাপনের পর ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এক বিবৃতিতে দাবি করেন, ‘বেকার হোস্টেল থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরিয়ে অন্য কোনো সরকারি স্থানে বসানো হোক। কারণ, ইসলাম ধর্মে ভাস্কর্যের স্বীকৃতি নেই। হোস্টেলের ভেতর কোনো ইসলামবিরোধী কাঠামো গড়া অন্যায়।’
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘ঐতিহ্যের কোনো ইজারা হয় না। বঙ্গবন্ধু দুই বাংলার কাছেই শ্রদ্ধেয়, স্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের প্রেরণা। তার স্মৃতি শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করাই আমাদের কর্তব্য। এর কোনো রকম বিরোধিতা বরদাশত করা হবে না। কেউ প্রতিরোধ তৈরি করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বেকার হোস্টেল। এটি সরকারি ছাত্রাবাস। বঙ্গবন্ধু কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় এই বেকার হোস্টেলে ছিলেন ১৯৪৫-৪৬ সালে। তিনি ছিলেন ২৪ নম্বর কক্ষে। ইসলামিয়া কলেজের নাম বদলিয়ে এখন নামকরণ করা হয়েছে মাওলানা আজাদ কলেজ।
১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়ে তোলা হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। এই স্মৃতিকক্ষে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বর কক্ষটিকে যুক্ত করে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন। ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক সত্যসাধন চক্রবর্তী। সূত্র : ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Add
Mohammed Shah Alam Khan ২৫ মার্চ, ২০১৭, ৪:২৯ এএম says : 0
আজ এই সংবাদ পাঠ করে আমার মনে পড়ে সেই ’৭১ এর কথা যখন বাঙ্গালী মুসলমানরা তাদের মুসলমান ভাই পশ্চিম পাকিস্তানীদের হাতে পর্যাদস্ত হয়ে বাচার কোন পথ না পেয়ে যাদেরকে তারা বেধর্মি হিসাবে অবগ্যার চোখে দেখত সেই হিন্দু বাঙ্গালীদের দেশ পশ্চিম বঙ্গের সীমান্তে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছিল। তখন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু যিনি বঙ্গবন্ধুর বন্ধু হিসাবে সুপরিচিত তিনি আমাদের মা বোন, বাবা ভাইদের আশ্রয় দিয়েছিলেন এক জাতী বাঙ্গালী জাতী হিসাবে। শুধু তাইনয় তিনি আমাদের নিয়ে গর্ভ করে বলেছিলেন আমরা বাঙ্গালীত্ব ধরে রাখার জন্য যে যুদ্ধে নেমেছি সেখানেও তিনি সাহায্য করবেন। ওনারি চাপে ইন্দিরা সরকার বাধ্য হয়েছিলেন আমাদের পাঁশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য। আর আজ ওনারি উত্তর সূরী পশ্চিম বঙ্গের মুখ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কঠিন ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর সড়ানোর আহ্বানকে সমূলে বাতীল করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শসিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের দুই বাংলার প্রেরণা’ এটা শুনে আমার বুকটা ভরে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের নেতাকে ঐ বাংলার নেতারাও কিভাবে সম্মান দিয়ে থাকেন এটা অবশ্যই বুঝার বিষয়। কিন্তু দেখুন এই মমতা তার জনগন ও রাজ্যের স্বার্থে তিস্তা চুক্তির ধারে কাছেও নেই এখানেও আমাদের শিক্ষার বিষয় রয়েছে তাইনা???
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ