শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্পোরেট

ভারতের চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক আরবিআইয়ের নজরদারিতে

| প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্ট : আইডিবিআই ব্যাংক ও ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংকসহ চারটি সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে এনেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্যের আরো ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। আইডিবিআই ব্যাংক ও ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংকের সঙ্গে ইউসিও ব্যাংককে নজরদারিতে এনেছে আরবিআই। তবে চতুর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ৩১ মার্চ ভারতীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ মানের পর্যালোচনা (একিউআর) শেষ করবে আরবিআই। কিন্তু এখন পর্যন্ত উপরোক্ত ব্যাংকগুলোর অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা না থাকায়, এগুলোকে নজরদারির আওতায় রেখেছে আরবিআই। আরবিআই ও অর্থ মন্ত্রণালয় দুই পক্ষই ব্যাংকগুলোকে তাদের আর্থিক অবস্থা উন্নয়নের পরামর্শ দিয়েছে। সেসঙ্গে মূলধন প্রবাহের পথ খুঁজতে ও সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর মডেল গড়ে তুলতে বলেছে। আরবিআইয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া আরবিআইও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ভারতীয় ব্যাংকগুলোর সম্পদ মান পর্যালোচনা কার্যক্রম শুরু করে আরবিআই। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নন-পারফর্মিং অ্যাসেটের (এনপিএ) মতো শীর্ষ খেলাপি হিসাবগুলোকে চিহ্নিত করার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এ-সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়। আরবিআইয়ের এ পদক্ষেপের ফলে ব্যাংকগুলোর বিশাল পরিমাণ মন্দ সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। শুধু ডিসেম্বর প্রান্তিকেই ব্যাংকগুলো ১ লাখ কোটি রুপির বেশি মন্দ সম্পদ চিহ্নিত করে। বছরওয়ারি হিসাবে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের শেষে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংকের (আইওবি) এনপিএ ৫২ শতাংশ বেড়ে ৩৪ হাজার ৫০২ দশমিক ১৩ কোটি রুপিতে দাঁড়িয়েছে। একই সময় লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫৪ কোটি রুপি। আইডিবিআইয়ের এনপিএ ৮০ শতাংশ বেড়ে ৩৫ হাজার ২৪৫ কোটি রুপিতে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকটির লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৫৫ কোটি রুপি। এদিকে সম্প্রতি সরকার আইডিবিআই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কিশোর খারাতকে ইন্ডিয়ান ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছে। এছাড়া ইন্ডিয়ান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এম কে জইনকে আইডিবিআই ব্যাংকে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানা গেছে। ৩১ মার্চ কলকাতাভিত্তিক ইউসিও ব্যাংকের চতুর্থ প্রান্তিক শেষ হবে। এ প্রান্তিকেও ব্যাংকটির আর্থিক পরিস্থিতি চাপের মধ্যে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তৃতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির এনপিএ ৪৯ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৮১ দশমিক ২৬ কোটি রুপিতে দাঁড়িয়েছে। একই সময় প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৩৭ কোটি রুপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন