শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্পোরেট

বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা

| প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্ট : যাত্রার মাত্র কয়েক বছরের মাথায় দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম। ২০১৬ সাল শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় অ্যাকাউন্ট চালু করেছেন, এমন গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৬ জন। এরই মধ্যে এ খাতে কার্যক্রম শুরু করেছে ১০টি ব্যাংক। কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এসব ব্যাংক নিয়োগ দিয়েছে ১ হাজার ৬৪৬ জন এজেন্ট। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতির পরিমাণ বাড়ার প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে যথাযথ নিয়ম মেনে এজেন্ট নিয়োগ না দিলে এ ব্যবস্থাও হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ৯০ শতাংশ বাজারই নিয়ন্ত্রণ করছে বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়া। একজন এজেন্টের সংগৃহীত আমানত থেকে তাকে কমিশন দেয়া হয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে এজেন্ট কোনো ধরনের কমিশন বা ফি গ্রহণ করতে পারেন না। এজন্য একই স্থানে অনেক এজেন্ট হয়ে গেলে তারা লাভবান হবেন না। ব্যাংকিং সেবা পৌঁছায়নি এমন এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে এ সেবার আওতায় আনতে ২০১৩ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং চালুর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে। পরে ২০১৪ সালে বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়ার হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সাল শেষে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম রয়েছে ১০টি ব্যাংকের। এসব ব্যাংক ১ হাজার ৬৪৬ জন এজেন্ট নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি চালু করেছে ২ হাজার ৬০১টি আউটলেট। গেল বছর পর্যন্ত এজেন্টদের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৬ জন গ্রাহক। এসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেশে এসেছে ৩০৯ কোটি টাকার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৩৮০ কোটি টাকার আমানত জমা হয়েছে অ্যাকাউন্টগুলোয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন