কর্পোরেট রিপোর্ট : টানা চারদিন নিম্নমুখী প্রবণতায় রয়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার। সর্বশেষ সপ্তাহে আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট (এপিআই) যুক্তরাষ্ট্রে মজুদ বৃদ্ধির খবর প্রকাশের পর থেকেই নিম্নমুখী হয়ে ওঠে পণ্যটির বাজার। এ বাড়তি মজুদ জ্বালানি তেলের বিশ্ববাজারে সরবরাহ চাপের শঙ্কা তৈরি করেছে। ফলে দেশটিতে গ্যাসোলিনের চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস সত্তেও অব্যাহত রয়েছে জ্বালানি তেলের দরপতন। মার্কেটওয়াচ জানিয়েছে, নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) ব্যারেলে ৩৪ সেন্ট দাম কমেছে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই)। দশমিক ৭ শতাংশ কমে এদিন প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই বিক্রি হয়েছে ৪৭ ডলার ৭০ সেন্টে। ফ্যাক্টসেটের হিসাব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দরপতনের মধ্য দিয়ে টানা চারদিন নিম্নমুখী প্রবণতা পার করল পণ্যটির বাজার। অন্যদিকে ব্যারেল ৮ সেন্ট দাম কমেছে ব্রেন্টের। লন্ডন ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) মে মাসে সরবরাহ চুক্তিতে দশমিক ২ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট বিক্রি হয়েছে ৫০ ডলার ৫৬ সেন্টে। এপিআই গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৭ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ বেড়েছে ৪৫ লাখ ব্যারেল। বাজার বিশ্লেষকরা ধারণা করেছিলেন, ওই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ২৮ লাখ ব্যারেল মজুদ বাড়তে পারে পণ্যটির। এপিআই জানিয়েছে, ওই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেল মজুদ দাঁড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ব্যারেলে। মজুদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে তেল পরিশোধনও। এপিআই জানিয়েছে, সর্বশেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেল পরিশোধন দৈনিক ২ লাখ ২৪ হাজার ব্যারেল বেড়েছে। এর পরও ওই সপ্তাহে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে দেশটি। এপিআইয়ের হিসাব অনুযায়ী, সর্বশেষ সপ্তাহে দৈনিক ৭৯ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় দৈনিক ৬ লাখ ১৫ হাজার ব্যারেল বেশি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন