বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

তারুণ্যের স্বপ্নময় ক্যারিয়ার

জাবি ক্যারিয়ার ক্লাব “ন্যাশনাল লিডার্স সামিট-২০১৭”

| প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ব্যাংকে চাকরি মোটা স্যালারি, বিসিএস প্রশাসন জীবন নিশ্চয়তা, এনজিওতে মানবসেবা, বহুমুখী কোম্পানিতে বহুদেশ ভ্রমণ, আমি করব কোনটা। স্যার, আমি আইনে পড়ি, আমি ব্যাংকের লিগাল অ্যাডভাইজর হতে চাই, আমি কিভাবে শুরু করব। স্যার আমি সাংবাদিকতায় পড়ি, আমি এনজিওতে কাজ করতে চাই। স্যার আমি আইটিতে পড়ি, আমি জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডি করতে চাই। এভাবেই নিজেদের স্বপ্নগুলো শেয়ার করেছে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত ছাত্রছাত্রীরা। গত ২৫ ফেব্রæয়ারি জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত “ন্যাশনাল লিডার্স সামিট-২০১৭” যেখানে এভাবেই নিজেদের স্বপ্নগুলো শেয়ার করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা।
তারুণ্যের সম্মেলন, স্বপ্নের তরীতে পাল তোল, বাতাসে দোলাও স্বপ্নের ঘুড়ি। দুপুর দুইটা ত্রিশ মিনিট জহির রায়হান অডিটোরিযাম প্রাণবন্ত একঝাঁক তরুণের উপস্থিতিতে। “ন্যাশনাল লিডার্স সামিট-২০১৭”-এর মূল অনুষ্ঠানে মোট ছয়টি পর্ব ছিল এর মধ্যে পাঁচটি “প্যানেল ডিসকাশন” ও একটি লাইভ ইন্টারভিউ। প্যানেল ডিসকাশনগুলো সাজানো হয় যথাক্রমে প্রথমে ব্যাংকার, এরপর সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও কর্মকর্তা, উদ্যোক্তা, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কর্মকর্তাদের নিয়ে। প্যানেল ডিসকাশনগেুলোতে অংশগ্রহণ করেন স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত দেশের সফল তরুণরা। পুরো অনুষ্ঠানটি ছিল খুবই প্রাণবন্ত ও অনুপ্রেরণাদায়ক। প্রথমেই আমন্ত্রিত অতিথিরা তাদের সফলতার গল্প এবং স্ব-স্ব ক্ষেত্রের সুবিধা, সম্ভাবনা ও এসব ক্ষেত্রে কি করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় তার নির্দেশনা এবং সবশেষে সরাসরি প্রশ্নপর্ব ও উত্তর প্রদান।
প্রথম আলোচনাটি হয় ব্যাংকারদের নিয়ে এতে অংশগ্রহণ করেন মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ডিপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও মো. তৌফিক এলাহী, নির্বাহী সহ-সভাপতি, ট্রাস্ট ব্যাংক লি.। প্রথমে তারা ব্যাংক জবের কাজের প্রেসার, কাজের ধরন, ক্যারিয়ারের নিশ্চয়তা ও ব্যাংক জবের সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর হয় প্রশ্নপত্র পর্ব এ অংশে অনেক ছাত্র তাদের ব্যাংক জব নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং সাথে সাথেই এর উত্তর পেয়ে যান।
এরপরের পর্বটি হয় সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে। এ পর্বে অংশগ্রহণ করে মো. জহিরুল ইসলাম, ডিপুটি সেক্রেটারি, খাদ্যমন্ত্রণালয় ও মো. আব্দুল আহাদ, সহকারী কমিশনার, কাস্টমস। এ পর্বে তারা সরকারি চাকরির ধরন, কাজের অবস্থা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। এ পর্বে একজন ছাত্র প্রশ্ন করে স্যার সরকারি চাকরি করতে হলে তো মামা-চাচার ক্ষমতা লাগে এর বাস্তবতা কতটুকু? সরকারি কর্মকর্তা উত্তর দেন যোগ্যতা থাকলে একাই সব করা যায় কারো সুপারিশের প্রয়োজন হয় না। আলোচনা পর্বগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল তিন তরুণ উদ্যোক্তার সাথে গল্প করা। এরা হলেন মোরশেদ হায়দার, সভাপতি, ঢাকা টোস্টমাস্টার্স ক্লাব, জিয়া আশরাফ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা, চালডাল ডটকম এবং লুতফি চৌধুরী, সিইও, ড্রাইভারবিডি ডটকম। এপর্বে ছাত্রছাত্রীরা বেশি সাড়া দেয়। প্রথমেই উদ্যেক্তারা তাদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গল্প শোনান। কিভাবে শুরু করেছিলেন, কিরকম বাধা এসেছিল পরিবার ও অন্যান্য জায়গা থেকে। এবং কিভাবে সবকিছু জয় করে সফল হলেন।
এবং সবশেষে পর্বটি ছিল ইন্টারভিউ বোর্ড নিয়ে। এ পর্বে বক্তারা অলোচনা করেন কিভাবে ভাইভা বোর্ডের ভীতি দূর করা যায়। কি কি কমন প্রশ্ন সবসময় করা হয়। কিভাবে উত্তর প্রদান করলে ভালো করা যাবে।
ষ আদীব মুমিন আরিফ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন