আশরাফ আলী মীর, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) থেকে : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত আসনের নারী প্রার্থীদের প্রচারণায় তাড়াইল উপজেলার ০৭টি ইউনিয়নের সর্বত্রই এখন সরগরম। দলীয়ভাবে নির্বাচনের ঘোষণায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অর্ধ শতাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী নৌকা আর ধানের শীষ প্রতীক পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। মনোনয়ন নিশ্চিত করতে এসব প্রার্থী তৃণমূলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ করছেন। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের তৎপরতা বেশি। তৃণমূল নেতা কর্মীরা তাদের পক্ষে না থাকলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন শতভাগ নিশ্চিত বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন এসব প্রার্থী। একারণে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে অর্থ বাণ্যিজের আশঙ্কা করছেন দলটির সাধারণ নেতা কর্মীরা। শুধু আওয়ামী লীগ নয় বিএনপিতেও মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি। এ দুই দলের মনোনয়ন প্রাপ্তিকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হচ্ছে গ্রুপিং তবে পিছিয়ে নেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও। স্থানীয় সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নুর নিজ উপজেলা হওয়ায় এখানে তার ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে। জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে জাতীয় পার্টির অনেক প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এদিকে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এবং ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কি না এ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করছেন বিএনপিসহ অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে উপজেলার ০৭টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির যেসব প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য গণসংযোগ চালাচ্ছেন তারা হলেন, তালজাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আশিকুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. সেলিম খান, সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি আলহাজ্ব আবু জাহেদ ভূইয়া, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওমর ফারুক কাঞ্চন, উপজেলা যুব দল নেতা শরীফ আহম্মেদ আলেক, সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. দুলাল উদ্দিন ভূঞা, সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি ফিরোজ খান লিটন, জাপা নেতা মো. মোতাহার উদ্দিন খান। রাউতি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন তারিক, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফরিদুজ্জামান ভূঞা বাদল, বিএনপি নেতা নাজমুল হক কেনু, যুব দলের রকিবুর রহমান খান রুজন, জাপা নেতা আমিনুর রহমান খান, আল-আমিন খান, মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক ছাত্র লীগ নেতা বায়েজীদ খান, ধলা ইউনিয়নের জাপা নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মবিন, আওয়ামী লীগ নেতা আফরোজ আলম ঝিনুক, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ সাজেদুর রহমান মিল্টন, সাবেক ছাত্রদল নেতা শেখ আবুল কাশেম জয়, আওয়ামী লীগের সাইফুল ইসলাম, সারোয়ার আলম খান ফেরদৌস। জাওয়ার ইউনিয়নের উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বর্তমান চেয়ারম্যান আখলাকুর ইসলাম অংকুর, সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহরিয়ার খান, আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সুজন, কামরুল ইসলাম খোকা, সাবেক চেয়ারম্যান ইমদাদুল ইসলাম রতন, বিএনপি নেতা বায়েজিদ ভূঞা, জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক ভারপ্রাপ্ত নেতা সাইফুল ইসলাম খান খোকন, জাপা নেতা কামরুজ্জামান সালেক, আয়য়ুব আলী, দামিহা ইউনিয়নের উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান এ.কে মাইনুজ্জামান নবাব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ভূঞা, বিএনপি নেতা মাহফুজ কাদের টিপু, বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম তনু, শাহজাহান কবির, জাপা নেতা মাজেদুল হক লিটন, আজহারুল হক আজার, দিগদাইড় ইউনিয়নের উপজেলা জাপা নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাপ ভূঞা, এনামুল হক, রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, নজরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান বাচ্চু, জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম রুবেল, তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়নের উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মহাজন, আওয়ামী লীগ নেতা সাইম দাদ খান নৌওশাদ, চন্দন ভৌমিক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মাহবুবুর রহমান খান সেলিম, আবুল কাশেম খান, মাজহারুল ইসলাম মুকুল, জাপা নেতা দেলোয়ার হোসেন ফুল মিয়া প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন