চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল কতিপয় শ্রমিক-কর্মচারীকে পুঁজি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াসে লিপ্ত। তারা চট্টগ্রাম বন্দরের সুনাম এবং দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি চট্টগ্রাম বন্দরকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে। গতকাল (মঙ্গলবার) নগরীর নিমতলা বিমান চত্বরে ডক শ্রমিক, মার্চেন্টস শ্রমিক, ষ্টীভিডোরিং স্টাফ, ল্যাসিং-আনল্যাসিং শ্রমিক ও উন্সম্যান বা ক্রেন অপারেটর শ্রমিকদের সম্মিলিত সংগঠন চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন।
সিটি মেয়র বলেন, বিশ্বের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ৯৮তম স্থান থেকে বর্তমানে ৭৬ তম স্থানে এসেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের এ সক্ষমতা বৃদ্ধির পেছনে শ্রমিক কর্মচারীদের ভুমিকাই মুখ্য। মেয়র বলেন, ন্যায়সঙ্গত দাবি বাস্তবায়নের জন্য শ্রমিকদের ঐক্য প্রয়োজন। শ্রমিক ঐক্যবদ্ধ থাকলে সকল অধিকার আদায় করা সম্ভব। চট্টগ্রাম বন্দর সচল থাকলে দেশও সচল থাকবে। যাদের দেশপ্রেম আছে, তারা নিজেদের ক্ষতি করতে পারে না। এ ধরনের দেশপ্রেম বিবর্জিত কাজে যারা লিপ্ত তাদের বিষয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, নেতৃত্বকে ব্যক্তির স্বার্থে নয়, শ্রমিক শ্রেণি, দেশ ও জাতির স্বার্থে নিয়োজিত রাখতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি মো. মীর নওশাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফর আলী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইসহাক, জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন খান, সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর। বক্তব্য রাখেন সিবিএ’র যুগ্ম সম্পাদক আবু বক্কর চৌধুরী, মো. নাসির, কার্যকরী সভাপতি মো. কামাল, সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল আবছার, নুরুল আমিন ভূইয়া, মো. দুলাল মিয়া, হাজী আইয়ুব দোভাষ, সহ-সভাপতি আবদুল গফুর, হুমায়ুন কবির, জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক উৎপল বিশ্বাস, শহীদুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
সাধারণ সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের দাবী সমূহ উত্তাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর। মেয়র ন্যায়সঙ্গত দাবী বাস্তবায়নে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সাধন করবেন বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন