কর্পোরেট রিপোর্ট : সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাবে ব্রিটেন। জোটের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে ব্রেক্সিটের বিকল্প হিসেবে জোটবহির্ভূত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চালাচ্ছেন ব্রিটেনের শীর্ষ নেতারা। এ লক্ষ্যে তিনদিনের সফরে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে। অন্যদিকে দুদিনের সফরে ভারত পৌঁছেছেন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হামন্ড ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর মার্ক কার্নি। মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ, বিশেষত সৌদি রাজপরিবারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চালাচ্ছেন টেরিসা মে। তিনদিনের সফরে সোমবার জর্ডানে পৌঁছান তিনি। জর্ডানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা পেত্রা জানায়, সন্ত্রাসবাদ মোকবেলা ও সিরীয় সংকট দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুই দেশের মধ্যকার সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লার সঙ্গে আলোচনা করেন মে। সফরকালে জর্ডানের র্যাপিড রেসপন্স ফোর্সেসের সদর দপ্তরও ঘুরে দেখেন তিনি। দুদিনের সৌদি সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সংক্রান্ত আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করবেন তিনি। মে জানান, সৌদি-ব্রিটেনের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান। নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য সবদিক দিয়েই সৌদি ব্রিটেনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে ইয়েমেনে সৌদির সামরিক হামলার বিষয়ে তদন্ত চলমান থাকায় দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানান ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা। তবে আইনপ্রণেতাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও সৌদির সঙ্গে বাণিজ্য জোরদার করতে চায় ব্রিটিশ প্রশাসন। প্রসঙ্গত, সৌদি রাজপরিবার ব্রিটিশ অস্ত্রের অন্যতম প্রধান ক্রেতা। ব্রিটেনের কাছ থেকে ৪১০ কোটি ডলারের যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কিনেছে সৌদি আরব। এ কারণে মানবাধিকার নিয়ে সৌদির অবস্থানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করার চেয়ে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য-সংক্রান্ত আলোচনায় অধিক আগ্রহী ব্রিটিশ প্রশাসন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন