শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

১০ লাখ টাকার শিক্ষাবীমা জমা মা পেল একুশ

| প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : অবশেষে ‘মা’য়ের কোল পেল সেই একুশ। ‘সন্তান’ পেল ডাক্তার পতœী শাকিলা আক্তার। আদালতের সিদ্ধান্তে একুশকে নিজের জিম্মায় পেলেন নিঃসন্তান শাকিলা। বিয়ের ১৯ বছরেও সন্তান পাননি। একুশকে পেতে আইনি লড়াই করেছেন বেশ কয়েকদিন। অবশেষে তার পক্ষেই আদালতের সিদ্ধান্ত আসে। গতকাল (বুধবার) আদালতেই শাকিলার কোলে তুলে দেয়া হয় শিশু একুশকে। আবেগাপ্লুত শাকিলা পরম মমতায় বুকে জড়িয়ে ধরেন ছেলে শিশুকে। বলেন গর্ভে ধারণ করতে পারিনি তাতে কী নিজের সন্তানের মতোই তাকে বড় করে তুলব। গর্ভধারিণী মা জন্মের পর তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল একুশকে। ৪৪ দিন পর কোল পেল এ শিশু।
চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু বিষয়ক বিশেষ আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌসের আদালতে ডা. মো. জাকিরুল ইসলাম ও শাকিলা দম্পতির কাছে একুশকে হস্তান্তর করা হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিশুটির নামে ১০ লাখ টাকার শিক্ষাবীমা কাগজপত্র জমা দেয়ার পর বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস একুশকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। এসময় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের নবজাতক বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. দেবাশীষ চৌধুরী একুশকে তার ‘বাবা-মা’র হাতে তুলে দেন।
এর আগে গত ২৯ মার্চ চার দফা শর্ত জুড়ে দিয়ে একুশকে বিয়ের ১৯ বছর পরও নিঃসন্তান থাকা শাকিলার জিম্মায় দেয়ার আদেশ দেন আদালত। চারটি শর্তের মধ্যে জিম্মায় পাওয়া আবেদনকারীকে শিশুটির নামে ১০ লাখ টাকার শিক্ষাবীমার প্রমাণপত্র ৫ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছিল। এছাড়া ১৫ দিন পর পর আদালতে এসে শিশুটির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানাতে হবে। চিকিৎসার কোনোরকম ত্রæটি হলে জিম্মা যে কোনো সময় আদালত বাতিল করতে পারবেন। এছাড়া শিশুটির প্রকৃত মা-বাবা পাওয়া গেলে প্রমাণসাপেক্ষে তাদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য থাকবেন বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন