বিশেষ সংবাদদাতা : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে তরুণদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। আজকের এই তরুণদের হাত ধরেই এ সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করে উন্নত বাংলাদেশ গড়া হবে।
গতকাল (বুধবার) নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী ডিজিস্কিল এক্সপো-২০১৭ এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য গিয়াস উদ্দিন আহসান, বোর্ড অব ট্রাস্ট্রির চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বেসিসের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা জব্বার, আমেরিকান অ্যালিউনি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির, সফটওয়ার সলুউশনের সিইও রাশেক রহমান, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান কান্তারা খালেদা খান, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট তপন সরকার বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালিরা স্বভাবতই উদ্যোক্তা। প্রয়োজন শুধু উপযুক্ত পরিবেশ এবং সময়মতো তথ্য বিনিময় করা। তিনি বলেন, কর্মসংস্থান, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য এলআইসিটি প্রকল্প, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের জন্য এসইআইপি প্রকল্প নিজেরাই যাতে আয় করতে পারে, তার জন্য লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প সরকার বাস্তবায়ন করছে। তাছাড়া আইডিইএ প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবন ও উদ্ভাবনী প্রকল্প অর্থায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসবের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে যুবসমাজ উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও বিশ্বকে আরো ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগী হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই মেলার উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ বিভিন্ন আইটি ফার্মকে সঙ্গে নিয়ে তথ্য প্রযুক্তিতে কর্মদক্ষতা ও কর্মক্ষেত্র বাড়ানোর অনুসন্ধান করা। এ উৎসব যুবসমাজকে ২০২১ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিপ্লবের লক্ষ্যের সঙ্গে পরিচয় করাতে বিশেষ ভ‚মিকা রাখবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।
মোস্তফা জব্বার বলেন, ঢাকার ভেতরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কমবেশি তথ্য প্রযুক্তি পড়ানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও হাতে-কলমেও শেখানো হয়। কিন্ত রাজধানীর বাইরের অবস্থা খারাপ। সেখানের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তির কোনো সুবিধাই নেই। কোথাও কোথাও সরকার এই ব্যবস্থা করার চেষ্টা করলেও সেটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে রয়েছে নানা বাধা। এসব কারণেই গ্রামের তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ হচ্ছে না। দুই দিনব্যাপী এই তথ্যপ্রযুক্তির উৎসবে প্রদর্শনী ছাড়াও সেমিনার, গোল টেবিল বৈঠক, অভিজ্ঞতা বিনিময় বৈঠক, ডিজিটাল এক্সিবিশন ছাড়াও নেটওয়ার্কিং, প্রোগ্রামিং, সমস্যা এবং তার সমাধান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন