শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সিরিয়ায় অবরোধের শিকার ৫ লক্ষাধিক মানুষ

অনাহারে মরেছে সহস্রাধিক, যুদ্ধবিরতির সুযোগে ত্রাণ তৎপরতা বাড়াচ্ছে জাতিসংঘ

প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় অবরোধের অমানবিক শিকার হয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ। এদের মধ্যে সহস্রাধিক মানুষ অনাহারে ভুগে প্রাণ হারিয়েছেন বলে গত সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়। প্রথমবারের মতো সত্যিকার অর্থে যুদ্ধবিরতি কার্যকর শুরু হয়েছে গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে। যুদ্ধকালীন প্রায় স্থবির হয়ে পড়া দেশটিতে ত্রাণ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা পাঠানোর উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতিসংঘ। ঠিক এ সময়েই এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন সংস্থাটির কর্মকর্তা জাইদ আল-হোসেন। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় অস্ত্র হিসেবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এরকম বিশাল জনগোষ্ঠীকে অনাহারে রাখা এবং অবরোধ স্পষ্টতই ক্ষমার অযোগ্য। সম্ভবত হাজার হাজার মানুষ না খেতে পেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সিরীয় সরকারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে খাদ্য নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া এই সাময়িক শান্তিচুক্তি কার্যকর হওয়ার সুবাদে সিরিয়ার অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষের জন্য ত্রাণ সরবরাহের যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণসম্পন্ন করেছে জাতিসংঘ। ত্রাণের প্রথম সরবরাহ গত সোমবার সম্পন্ন হয়েছে বলে এএফপি জানিয়েছে। যা প্রায় দেড় লাখ যুদ্ধগ্রস্ত সিরীয় জনগণের কাছে আগামী অন্তত পাঁচ দিনে পাঠানো হবে। মার্চ মাসের শেষ নাগাদ প্রায় ১৭ লাখ সিরীয় জনগোষ্ঠীর কাছে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা করছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, সহিংসতার কারণে দেশটির মোট ৪৬ লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছেন, যাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো অত্যন্ত কঠিন কাজ।
অন্যদিকে, বহুল প্রতীক্ষিত এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও উভয়পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রথম দিনেই চুক্তি ভঙ্গের বিষয়ে জাতিসংঘ ও বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর বরাবর সিরিয়ার প্রধান বিরোধী সংগঠন হাই নেগোসিয়েশনস কমিটি (এইচএনসি) অভিযোগ দায়ের করলেও দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক ভালো বলেও জানিয়েছে। যুদ্ধবিরতির পরিসর বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে মস্কোর গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে গত রোববার জন কেরি এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরোভ ফোনে কথা বলেছেন বলে গত সোমবার জানিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এএফপি, আল জাজিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন