পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : আমার বাড়ি যাইও বন্ধু, বসতে দেব পিঁড়ে, জলপান যে করতে দেব শালিধানের চিড়ে। শালিধানের চিড়ে দেব বিন্নিধানের খই, বাড়ির পাশে কবরী কলা গামছা বাধাঁ দই......।
পল্লীকবি জসিম উদ্দিন তাঁর কবিতার মাধ্যমে চিড়ে, দই এবং কবরী কলা দিয়ে বিন্নিধানের খই খেতে নিমন্ত্রন দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বিন্নিধানের খই এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না। বিন্নিধানের চাষতো প্রায় উঠে গেছে। হাট-বাজারেও সেই খই এখন সচরাচর পাওয়া যায় না। কিন্তু বিন্নিধানের খৈয়ের কদর এখনও গ্রামাঞ্চলে রয়েছে। তাই প্রতি বছর বৈশাখ মাসে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার গ্রামাঞ্চলে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় খইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। গতকাল রোববার উপজেলার পোড়াবাড়িয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলাও বিন্নিধানের খইয়ের দোকান বসে। তবে অন্য ধানের খইয়ের চেয়ে বিন্নিধানের খৈয়ের দাম যেন আকাশচুম্বী। এবার মেলায় প্রতি কেজি বিন্নিধানের খই বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। এতে অনেকেই খই না কিনে ভ্রুকুচকে বাড়ি ফিরে গেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন