স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির দুইশীর্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। তাদের মনোনীত নির্বাচনী এজেন্টগণ নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্থাপিত রিটার্নিং অফিসারের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে আর কেউ মনোনয়নপত্র না নেয়ায় এটা স্পষ্ট বুঝা যায়, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচিত হওয়ার পথে।
গতকাল সকাল পৌনে ১১টায় ‘চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন-২০১৬’ জন্য গঠিত রিটার্নিং অফিসার নজরুল ইসলাম খানের কাছ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মনোনীত নির্বাচনী এজেন্ট রুহুল কবির রিজভী (যুগ্ম মহাসচিব) ও বিকেল সাড়ে ৩টায় তারেক রহমানের মনোনীত নির্বাচনী এজেন্ট মোহাম্মদ শাহজাহান (যুগ্ম-মহাসচিব) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এ সময়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার আব্দুল মান্নান এবং নির্বাচন কমিশনের সদস্য এডভোকেট হারুন আল রশিদও উপস্থিত ছিলেন। বিকেল সাড়ে তিনটায় তারেক রহমানের স্বাক্ষর করা চিঠিতে দলের যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহানকে তার নির্বাচনী এজেন্ট মনোনয়ন দেন। সেই চিঠি নিয়ে শাহজাহান মনোনয়নপত্র সংগ্রহন করেন। এ সময়ে খালেদা জিয়ার নির্বাচনী এজেন্ট রুহুল কবির রিজভী, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীম ও সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘চেয়ারম্যান ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার তফসিল ঘোষণা করেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, সকাল পৌনে ১০টায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিকাল ৩টা ২৭ মিনিটে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী তারেক রহমান তাদের মনোনীত এজেন্টের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। মনোনীত এজেন্টরা তাদের নিয়োগপত্র আমাদের কাছে জমা দিয়ে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন।
আমরা পুরোটা সময় অপেক্ষা করেছি, আর কেউ মনোনয়নপত্র নেয় কিনা। কারণ আমাদের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা ছিলো যে, বিএনপি যারা করেন, যারা দলের চাঁদাদাতা সদস্য তাদের মধ্যে যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি, তারা যে কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারেন। কিন্তু আর কেউ মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন নাই।
নির্বাচনের নিয়ম উল্লেখ করে রিটার্নিং অফিসার বলেন, তারপরও এই প্রার্থীদের আমরা তো বলতে পারি না, নির্বাচন কমিশনেরও ঘোষণা করা মুশকিল এই কারণে যে, তারা মনোনয়নপত্র নিলেন কেবল। এটা তাদের ৪ মার্চ জমা দিতে হবে। এরপর আমরা বাছাই করে দেখবো তাদের মনোনয়নপত্র শুদ্ধ আছে কিনা। কেবল শুদ্ধ থাকলেও হবে না, কারণ ৬ মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন। যদি কেউ প্রত্যাহার করে ফেলেন, তাকে নির্বাচিত করা যাবে না। কাজেই ৬ তারিখ বিকেল ৪টায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
নজরুল ইসলাম খান জানান, ৭ মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন রিটার্নিং অফিসারের কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমরা এরপর একটি রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনকে দেবো। এক পৃষ্ঠার এই মনোনয়নপত্রের কোনো মূল্য রাখা হয়নি। ‘চেয়ারপারসন’ ও ‘সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান’ পদে মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর নাম, পিতার নাম ও মাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয় তথ্যাবলী চাওয়া হয়েছে।
মনোনয়নপত্রে প্রস্তাব ও সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষরদানকারীকে দুইজনকে অবশ্যই কাউন্সিলররা এবং দলের চাঁদা পরিশোধ থাকতে হবে। প্রার্থীকেও দলীয় চাঁদা পরিশোধ করতে হবে।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চাঁদা আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রুস্তম আলী বলেছেন, ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্যের চাঁদার হার প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা। সেই অনুযায়ী দুইজনের সমুদয় চাঁদার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন