রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) উপজেলা সংবাদদাতা : ঠাকুরগাঁওয়ের (২ এবং ৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত) রাণীশংকৈল-হরিপুর সীমান্তের প্রায় ৫কিঃমিঃ কাঁচা রাস্তার বেহাল অবস্থা। সীমান্তে বিভিন্ন পেশাজীবী বাংলাদেশী নাগরিক মানবেতর জীবনযাপন করছে। তারা বাংলাদেশী নাগরিক হয়েও সরকারী -বেসরকারী সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবহেলিত এবং বঞ্চিত এলাকার মানুষ তাদের দুরবস্থার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে কাদাপানিতে রাস্তা থৈ থৈ করে। পথ যাত্রীরা বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্যা যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। রানীশংকৈল এবং হরিপুরের শেষ সীমানা হওয়ায় রাস্তার বেহাল অবস্থা হয়েছে বলে পথ যাত্রীরা মনে করছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, মীরডাঙ্গী হয়ে পশ্চিম বনগাঁও যেতে ৬ কিঃমিঃ পাকা রাস্তা মধ্যে ১ কিঃমিঃ কাঁচা রাস্তায় ২ উপজেলার সংযোগ রয়েছে। এদিকে ভÐগ্রাম হয়ে ভরনিয়া বাজার পর্যন্ত ৩ কিঃমিঃ কাঁচা রাস্তার বেহাল অবস্থা। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম জানান, স্থানীয় এমপি যদি আমাকে ডিওলেটার দেন তাহলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারি। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি অধ্যাপক ইয়াসিন আলী বলেন, ইতোমধ্যে এসব কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন জমা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মুকুল ও সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান আলীসহ জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কাশেম জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে অজ্ঞাত কারণে রাস্তাটি পাকাকরণ হচ্ছে না। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে শত শত মানুষের ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। চেয়ারম্যান বলেন, বিশেষ করে আষাঢ়-শ্রাবন মাসে রাস্তার বেহাল অবস্থা হয়ে পড়ে। রাস্তাটি জরুরিভাবে পাকাকরণের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন