শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

হাটহাজারীতে মাদকসহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য বেপরোয়া বেচা-কেনা

প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায়ীদের যন্ত্রণায় ভুগছেন হাটহাজারী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডসহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নসহ পুরো উপজেলাবাসী। ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা, দেশী-বিদেশী মদসহ নেশার বিভিন্ন জাতের ট্যাবলেট এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। এ সব মাদকের কারণে উপজেলা অলিগলিতে লোকজন চলাফেরা করছে অনেকটা ভীতির মধ্যে দিয়ে। এ সব মাদক থেকে মুক্তি পেতে চাই হাটহাজারীবাসী। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০০ স্পটে মাদক বেচা-কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় মাদকের পাশাপাশি ইয়াবাও বিক্রি করছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম দেওয়াননগর সন্দিপপাড়া, ফটিকা কামালপাড়া, কলেজ গেইট, আজিজিয়া মজিদিয়া সড়ক, পূর্ব দেওয়াননগর এলাকার কালা চান্দদিঘী, কাচারী সড়ক, পূর্ব দেওয়াননগর দরানী পুকুর, ছড়াকুল, আব্বাইচ্ছাপুল, ভাঙা মসজিদ, ১১ মাইল, হাটহাজারী মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অফিসের পাশে, রঙ্গীপাড়া, ফটিকা নাপিতের ঘাটা, মেখল ইউনিয়নের সুবেদা পুকুরপাড়, শ্রী শ্রী পুন্ডরীক ধাম এলাকা, হাবিব ও মনুর দোকান, মেখল ফকিরহাট, আলাউল দিঘী এলাকা, চবি ১ ও ২ নং সড়কের আশপাশে, নন্দীহাট বাজার এলাকা, ফতেয়াবাদ, চৌধুরীহাট বাজার ও দাতারাম সড়কের একাধিক স্থান, বড়দিঘীপাড়, আমান বাজার, নজুমিয়াহাট বাজার, মদুনাঘাট বাজার, চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের ধুপকুল, কুয়াইশ কলেজ এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক স্পটে বিভিন্ন জাতের উল্লেখিত মাদক বেচা-কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয়দের কাছ থেকে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাসিক মাসোহারা ভিত্তিতে মাদক স্পটগুলোতে মাদক বিক্রি করা হয় বলে জানায় এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এদিকে হাটহাজারী পৌরসভার পৌর এলাকার বাজারের মাছ বাজার সড়ক দিয়ে পশ্চিম পাহাড়ের আশপাশে প্রতিদিন রাত ঘনিয়ে এলে চলে মাদক বেচা-কেনার হিড়িক। পশ্চিম দেওয়াননগর সন্দিপপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশ, আবিদের দোকানের আশপাশ, গলাচিপা এলাকা, মেখল ঘোনা, ফরেস্ট-এর গাছের বাগানসহ এসব এলাকায় সান্ধ্যার পর সাধারণ মানুষ চলাচল করতে দুষ্কর হয়ে পড়ে। উক্ত এলাকায় বিভিন্ন সময় মাদকসেবিরা বিভিন্ন সময় পথচারীদের কাছ থেকে মোবাইন ফোন ছিনিয়ে নেয়। এমনকি পথচারীদের টাকা-পয়সাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া ঘটনাও নজির রয়েছে। তারা একটি সিন্ডিকেটের সদস্যরা এধরনের ঘটনা লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্ন চুরি-ডাকাতি নাশকতা গাড়ি ভাঙচুর গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এই সিন্ডিকেটের বেশ কয়েকজন সদস্যর বিরুদ্ধে থানায় মামলাও রয়েছে বলে জানা যায়।  বিভিন্ন সময় গোপনসংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-পুলিশ উপজেলা বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হলেও হাটহাজারী মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ভূমিকা রয়েছে রহস্যজনকভাবে। হাটহাজারী কলেজ গেইট এলাকায় প্রায় সময় খ- খ-ভাবে ভ্রাম্যমাণ মাদক বেচা-কেনা অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, বউ বাজার, থেকে কামালপাড়া যাওয়ার সড়কটিতে মাদক বেচাকেনা হয়। হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ বিভিন্ন সময় মাদক আস্তানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করলেও হাটহাজারী মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভূমিকা নেই বলে চলে। যার কারণে হাটহাজারী থেকে কোনো মতেই রোধ করা যাচ্ছে না মাদক। সিএনজি, মালবাহী ট্রাক, মাইক্রো, প্রাইভেট কার ও বাসযোগে বিভিন্ন কৌশলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে হাটহাজারী হয়ে চট্টগ্রামে প্রবেশ করে বলে জানা যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন