ইনকিলাব ডেস্ক : এবার আবার দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে পাওয়া গেছে একটি প্লেনের ধ্বংসাবশেষ, যা এমএইচ-৩৭০ এর নিখোঁজ হওয়ার রহস্য উন্মোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এমএইচ-৩৭০-এর অনুসন্ধানে নিয়োজিত বহুজাতিক অভিযানের নেতৃত্বদানকারী খোদ অস্ট্রেলিয়ার অবকাঠামো ও যোগাযোগ মন্ত্রী ড্যারেন চেস্টার নিখোঁজ বিমানের রহস্য উন্মোচনে এবার আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, তাহলে কি মোজাম্বিক উপকূলে পাওয়া ধ্বংসাবশেষটিই নিখোঁজ এমএইচ-৩৭০ প্লেনের। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০ এর নিখোঁজ হওয়ার দুইবছর আর কয়েকদিন বাদেই পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এ দুই বছরে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশ তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান পরিচালনা করেছে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে বহুজাতিক উদ্ধারকারী দল। এর মধ্যেই মোজাম্বিকে পাওয়া প্লেনের ধ্বংসাবশেষ ইতিবাচক ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে। খবরে বলা হয়, ফ্রান্সের রিউনিয়ন দ্বীপসহ বেশ কিছু জায়গায় ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার পর অনুসন্ধানীদের মনে ধারণার সৃষ্টি হয়, এবার বুঝি ২৩৯ আরোহীসহ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বোয়িং-৭৭৭-২০০ইআর প্লেনটির নিখোঁজ রহস্যের একটা কিনারা হবে। কিন্তু সেসব আশা খুব বেশিদিন আলো দেয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, মোজাম্বিকে যে প্লেনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে তার সঙ্গে ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০ এর যথেষ্ট মিল রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এমএইচ-৩৭০ এর তদন্তকারী দল প্রথমে ধ্বংসাবশেষটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।
ড্যারেন চেস্টার আরো বলেন, এক মিটারের মতো লম্বা যে ধাতব অংশটি পাওয়া গেছে মোজাম্বিক কর্তৃপক্ষ সেটি এখন অস্ট্রেলিয়ায় পাঠাবেন। এরপর অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৮ মার্চ ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০ কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এর পর থেকে আজ পর্যন্ত প্লেনটি বা এর আরোহীদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এনবিসি নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন