বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভারত থেকে সাবধান না হলে জাতির দুর্ভোগ আছে : ডা. জাফরুল্লাহ

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ভারত থেকে সাবধান হতে হবে, অন্যথায় জাতির দুর্ভোগ আছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
‘বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান বীরোত্তম সংকলন’ এর প্রকাশনা উৎসব ও ওয়েবসাইটের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান গবেষণা পরিষদ নামের একটি সংগঠন। শহীদ প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, তিনিই বুঝেছিলেন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারত থেকে সাবধান থাকতে হবে। বন্ধুত্ব থাকবে কিন্তু সাবধান না হলে আমার (বাংলাদেশের) স্বাধীনতা বিপন্ন হবে। কোনো নতজানু দিয়ে কাজ হবে না। তিনি একথাও বলেছিলেন- আমাদের ইতিহাস আমাদের লিখতে হবে। ভারতকে দায়িত্ব দেয়া যাবে না। কিন্তু এখন মনে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে ভারত। তাই একটি কথা স্পষ্ট- ভারত থেকে আমাদের সাবধান হতে হবে, অন্যথায় আমাদের দুর্ভোগ আছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এদেশে প্রথম নারী উন্নয়নে কমিশন গঠন করেছিলেন। তাছাড়া উনি যে গঠনতন্ত্র করেছেন সেখানে মহিলাদের বেশি করে স্থান দেয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু আজকে খালেদা জিয়া শুধুমাত্র একজন মহিলা রেখেছেন দলের নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে। অর্থাৎ তিনি নিজে। তার মানে তিনি (খালেদা জিয়া) জিয়াউর রহমানের কথা শুনছেন না।
জিয়াউর রহমানকে জাতীয়তাবাদের প্রণেতা উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, জিয়া বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তার এ জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশে যতটা না বিস্তার ঘটেছে তারচেয়ে বেশি বিস্তর ঘটেছে ভারতে। দেখুন আজকে কাশ্মীরে জাতীয়তাবাদের জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছে। কিন্তু আপনারা (বিএনপি) জাতীয়তাবাদের জন্য কোনো কথা বলেন না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Mohammed Shah Alam Khan ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ৭:১৪ পিএম says : 0
ভারত নিয়েই এখানে বেশি লিখা হয়েছে কিন্তু এই ভারত রাজনীতি যদি আমরা ছাড়তে না পারি (মানে ভারত বিরুধি কথা বলা) তাহলে প্রকৃতই কি আমরা কিছু করতে পারব??? ভারত আমাদের চারিদিকে পরিবেষ্টিত আমাদের চেয়ে বিশ গুন বড় দেশ আবার আমাদের চেয়ে দশ গুন বেশী মানুষ তাদের। তারপর আবার তারা থাকে আমাদের চেয়ে উপর অঞ্চলে আমাদেরকে মাথা উঁচু করে তাকাতে হয় তাদের দিকে যা নাকি খবুই কষ্টকর কিন্তু ওরা চোখটা নিচা করলেই আমাদের দেখে। তাহলে ধরুন ওরা যদি ওদের সব বার্জ আমাদের দিকে ছেড়ে দেয় তাহলে কি অবস্থা হবে আমাদের দেশের সেদিকে কি একটু নজর আছে আমাদের তথা কথিত বুদ্ধিজীবিদের??? আমি আশ্চার্য হই যখন দেখি একটি মানুষ তার সুনাম যে নীতিতে হয়েছে সেই নীতি থেকে সরে যায় তখনই আফছোছ হয়। আমরা যারা ইচ্ছায় বা পরের ইচ্ছায় যেভাবেই হউক মুক্তি যুদ্ধ করেছি তারা যদি এক মঞ্চে না আসতে পারি তাহলে আমাদের দেশের অবস্থা যা আছে তাই থাকবে। তাই আল্লাহ্‌র কাছে আমার দোয়া আল্লাহ্‌ যেন সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তি যুদ্ধের সংগঠকদেরকে এক মঞ্চে থাকার ক্ষমতা দান করেন। আমীন
Total Reply(0)
Nur- Muhammad ২৮ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:৩১ এএম says : 0
হাঁ, খান ভাই আমি আপনার সাথে এক মত। ভারত আমাদের বড় সুপ্রিতিবেশি। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের অবদানই বেশী। স্বাধীনতার সময় ভারতের জনগণ সর্বত্র করনে সহযোগিতা করছিল। তাদের এই সহযোগীতায়ই আমরা মাত্র ৯ মাসে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ভারতের এই ক্রিয়া কলাপকে আমরা সবসময় জানাই ছালাম। ডাঃ জাফরউল্লাহ একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তি যুদ্ধা। যুদ্ধের সময় তিনি তার পেশা ও মেধা দিয়ে আমাদের যুদ্ধকে তড়ান্বিত করছিল। তিনি জনগণের জন্য গণ স্বাস্থ্য ট্রাষ্ট করছে। তিনি বঙ্গ বন্ধু সহ সকল মুক্তি যুদ্ধাকে সর্ব শ্রষ্ঠ চোখে দেখে। তই জনগণ তার এই আবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্বরন করে। তাকে ছালাম দেয়। আনেক আবেদন নিবেদন করার পর ও বন্ধু দেশ ভারত আমাদের ন্যায্য পওনা পানি দিচ্ছে না। তাই দেশ প্রেমে উথাল হয়ে জনাব জাফরউল্লা এই উক্তি ব্যক্ত করছে। এটা কোন অবস্থাতেই ভারত বিরুধী নয়। এ হলো দেশ প্রেমের প্রতীক। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন