ইনকিলাব ডেস্ক : নজিরবিহীন সাইবার হামলা চালিয়ে বিশ্বের ৯৯টি দেশের বিভিন্ন সংস্থার কম্পিউটার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের ধরতে আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করে ইউরোপোল। একটি র্যানসমওয়্যার ছড়িয়ে দিয়ে এই হামলা চালানো হয়। এতে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও বিশ্বব্যাপী মালামাল পরিবহনকারী যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফেডএক্সসহ সারা বিশ্বে প্রায় লাখখানেক কম্পিউটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইনভয়েস, জব অফার, নিরাপত্তা সতর্কতা এবং অন্যান্য বৈধ ফাইলের ছদ্মবেশে স্প্যাম ইমেইলে যুক্ত করা ম্যালওয়ারে মাধ্যমে সাইবার চাঁদাবাজরা কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের ফাঁদে ফেলছে। বিবিসি জানায়, ওই র্যানসমওয়্যার আক্রান্ত কম্পিউটারের সব তথ্য এনক্রিপ্ট করে তথ্য ফিরে পেতে চাইলে ৩০০ থেকে ৬০০ ডলার লাগবে বলে দাবি করে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই হামলার শিকার হয়েছে। তবে একক দেশ হিসেবে রাশিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। হামলার শিকার হওয়ার ঝুঁকি এখনও আছে, সতর্ক করেছে ইউরোপোল। তাদের সাইবার-ক্রাইম টিম (ইসিথ্রি) ‘হামলার ঝুঁকি কমাতে এবং এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায়, হামলার শিকার দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজে করবে বলেও জানান ইউরোপোলের কর্মকর্তারা। যুক্তরাজ্যের সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির প্রধান বলেন, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) অধীনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪৫টি সংস্থার কম্পিউটার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে বিশেষজ্ঞরা দিনরাত কাজ করছেন। দেশটির যেসব হাসপাতালের কম্পিউটার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেসব হাসপাতালের কর্মীরা তাদের কম্পিউটারে রোগীদের তথ্য দেখতে পারছিলেন না। রোগীদের নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্স অন্য হাসপাতালে পাঠাতে হাচ্ছিল। কম্পিউটার সচল না থাকায় অনেক হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা ছাড়া অন্য সব সেবা বন্ধ রাখতে হয়। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের সাক্ষাতের সূচিও বাতিল করা হয়। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন