বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

গার্দিওলার শিরোপাশূন্য বছর

| প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বার্সা-বায়ার্ন হলে ‘আমাকে বহিষ্কার করা হত’
স্পোর্টস ডেস্ক : ইতিহাদে তার যোগদানের মধ্য দিয়ে রঙিন স্বপ্ন তৈরী হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি সমর্থকদের হৃদয়ে। সাবেক ক্লাব বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিকে তার দু’হাতভরা সাফল্যই সেই স্বপ্নের কারণ। প্রিমিয়ার লিগের শুরুতে টানা ছয় ম্যাচ জিতে আভাসও দিয়েছিলেন তেমনি। কিন্তু সময়ের অন্যতম সেরা কোচ পেপ গার্দিওলার আগমনে যে সিটির ভাগ্যে কোন পরিবর্তন আসেনি মৌসুম শেষে এখন তা স্পষ্ট। লিগের আর মাত্র দুই ম্যাচ বাকি। শিরোপার আশা তো শেষ হয়েছে অনেক আগেই, এমনকি শীর্ষ চারে জায়গা পাওয়াটাও এখনো নিশ্চিত নয়।
বার্সা-বায়ার্নে এমন দশায় পড়লে কি করতেন গার্দিওলা? আসলে তাকে কিছুই করতে হত না। যা করার করত ক্লাব কতৃপক্ষই। নিশ্চিত ‘বহিষ্কার’ হতে হতো স্প্যানিশ কোচকে। এমনটি মনে করেন গার্দিওলা নিজে, ‘বর্তমান দশায় বড় কোন ক্লাব হলে আমাকে বহিষ্কার করা হত, আমাকে বের করে দেওয়া হত।’ ৪৬ বছর বয়সী আরো স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এটা বার্সেলোনা এবং বায়ার্ন হত, আপনি কিছুই জিতলেন নাÑ তাহলে আপনাকে বের হতে হত। এখানে (ম্যান সিটিতে) আমার জন্যে দ্বিতীয় সুযোগ আছে এবং পরের মৌসুমে আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব।’
শীর্ষ চার নিশ্চিত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পেতে সিটিকে হয়তো বাকি দুই ম্যাচ জিততেই হবে। কিন্তু তাতে তো আর কোন শিরোপা মিলবে না। ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রিনির চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেখে যাওয়া দলকে তিনি টেনে নিতে পারেন শেষ ষোল পর্যন্ত। এফএ কাপেও থামতে হয়েছে সেমিফাইনালে। আর লিগ কাপে তো বাদ পড়েন চতুর্থ রাউন্ডেই। ক্যারিয়ারে এই প্রথম তাকে থাকতে হচ্ছে শিরোপাশূন্য অবস্থায়।
বার্সায় চার মৌসুমে (২০০৮-২০১২) গার্দিওলা তিনটি লা লিগা ও দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ মোট ১৪টি শিরোপা জেতেন। এরপর এক বছরের ছুটি কাটিয়ে বায়ার্নে যোগ দেওয়ার পর তিন মৌসুমেই (২০১৩-২০১৬) দলকে জিতিয়েছেন বুন্দেসলিগা। এসময় বায়ার্নকে দুটি লিগ শিরোপাও উপহার দেন তিনি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ব্যবর্থতার দরুণ তাকে অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনা ছাড়তে হয়।
এই পরিসংখ্যানগুলোই আশা জাগাচ্ছিল সিটি সমর্থকদের মনে। ভাবছিলেন এই বুঝি তিন বছরের অপেক্ষার পালা তাদের শেষ হচ্ছে। কিন্তু মৌসুম শেষে সেই একই হতাশা। শীর্ষ চার নিয়েই লড়াইটা এখনো তাদের শেষ হলো না। এক্ষেত্রে তাদের প্রতিপক্ষ লিভারপুল ও আর্সেনাল। দুই ম্যাচ হাতে রেখে আগেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে অ্যান্তোনিও কোন্তের চেলসি। গত পরশু রাতে নিয়মিত একাদশের ৯ জন খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখেও ওয়াটফোর্ডকে তারা হারায় ৪-৩ গোলে। দ্বিতীয় স্থানটাও নিশ্চিত টটেনহাম হটস্পারের।
গত রাতে ওয়েস্ট ব্রæমউইচের বিপক্ষে জিতলে হয়তো লিভারপুলকে টপকে তিনে উঠে এসেছে সিটি। কিন্তু এই অবস্থান ধরে রাখতে তাদের জিততে হবে আগামী শনিবার ওয়াটফোর্ড ম্যাচটিও। তা না হলে ইউরোপের শীর্ষ লিগে সুযোগ পাওয়ার বাতিটাও নিভে যেতে পারে আকাশী-নীলদের। সেক্ষেত্রে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগও মিস করবেন গার্দিওলা। চ্যালেঞ্জ নেওয়ার প্রতি¯্রুতি দিয়ে ইংল্যান্ডে পা রাখা কোচ কি জানতেন এতো কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে তার জন্য?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন