শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আগাম মৌসুমী ফলে রমরমা বাণিজ্য

| প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আগাম মৌসুমী ফলে ছেয়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার। সময়ের আগেই বাজারে আসা এসব ফলে দ্বিগুণ লাভ করছেন ব্যবসায়ীরা। মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও আগে ভাগে বাজারে ওঠায় ভালো বিকিকিনি হচ্ছে মৌসুমী ফলের। বাজারে ফলের বিপুল সমারোহ থাকলেও এসব ফলে নেই তেমন স্বাদ ও গন্ধ। এতে রাসায়নিকের ব্যবহার হয়েছে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন আম, লিচু, কাঁঠাল, তরমুজ সহ নানান মৌসুমী ফলে ভরে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফলের পাইকারি বাজার বাদামতলীতে গিয়ে দেখা যায়, গোবিন্দভোগ, গোলাপ খাস ও হিমসাগর জাতের আমের ব্যাপক সমারোহ। পাইকারি দরে প্রতিকেজি আম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া সুস্বাদু লিচুও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এসব লিচু প্রতি হাজার ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কাঁঠালের উপস্থিতি থাকলেও তা বেশি পরিমাণে নয়। কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা দরে।
তবে পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারের মূল্যের বিপুল ফারাক লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীর প্রায় সব খুচরা বাজারে পাইকারির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ এবং কিছু জায়গায় দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব মৌসুমী ফল। বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজার ভেদে দামের তারতম্য রয়েছে। পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দ্বিগুণ কিংবা এর চেয়েও বেশি নেয়া হচ্ছে দাম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গোবিন্দভোগ আম ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, গোলাপ খাস আম ১৮০ থেকে ২২০ টাকা এবং হিম সাগর ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া খুচরা বাজারে সোনারগাঁওয়ের ১০০ লিচু ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং রাজশাহীর লিচু ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গাজীপুরের কাঁঠাল আকার ভেদে ৩৫০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন আকারের তরমুজ ১০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আগাম মৌসুমী ফল কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলের দাম বেশি। এমনকি, বাজারে ওঠা ভারতীয় ফল দেশি বলে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ক্রেতাদের। রাজধানীর পলাশীবাজারে ফল কিনতে আসা জাহিদ জানান, লিচু আমার বাচ্চাদের খুবই প্রিয়। কিনতে হচ্ছে তাদের জন্যই। কিন্তু দাম অনেক বেশি। এজন্য কম করে কিনছি। দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ সম্পর্কে ফল বিক্রেতা টুটুল বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি। এছাড়া পরিবহন খরচ, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচের কারণে দাম বেশি নিতে হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন