শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

রূপগঞ্জকে বাঁচাতে পারলো না মোহামেডান

| প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : আগের দিন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচটা জিতেও রূপগঞ্জকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে গতকালের মোহামেডান-শেখ জামাল ম্যাচের দিকে। শুধু মোহামেডানের জয়ই পারতো রূপগঞ্জকে সুপার লিগে ওঠাতে। এক ম্যাচ আগে পয়েন্ট টেবিল বলছে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট রূপগঞ্জের, ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট মোহামেডান ও শেখ জামালের। লিগে মোহামেডানের কাছে হেরেছে রূপগঞ্জ, জিতেছে শেখ জামালের বিপক্ষে। পয়েন্ট সমান হলে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা দল উঠবে সুপার লিগে। সেই হিসেবে গতকাল ম্যাচের ফল যা-ই হোক না কেন, সুপার লিগ নিশ্চিত ছিল মোহামেডানের। হলো না। মোহামেডানের হারে সুপার লিগে খেলার স্বপ্ন পূরণ হলো না রূপগঞ্জের।
তবে গতকাল বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠের ম্যাচটি কিন্তু ঠিকই স্বপ্ন দেখাচ্ছিলো লিজেন্ডসদের। টস হেরে ব্যাট করতে নামা মোহামেডান শুরু থেকেই চড়াও হয় শেখ জামাল বোলারদের উপর। ওপেনার শামসুর রহমান শুভ ও রনি তালুকদারের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৩৯ রানের বিশাল রান পাহাড় গড়ে মোহামেডান। ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটির পর দলের হাল ধরেন শুভ ও অধিনায়ক রনি। দ্বিতীয় উইকেটে ১৭৩ রান যোগ করেন এন জুটি। রনি ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯৯ বলে ১১০ রানে ফিরলেও, ১৪৪ রানে অপরাজিত থেকে যান শামসুর। তার ১৫২ বলের ইনিংসে ৭টি করে চার ও ছক্কা ছিলো। ৫ উইকেটে ৩৩৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় মোহামেডান। জবাবে শুরুটা ভালো হলেও, ৫৮ রানেই প্রথম দুই উইকেট হারায় শেখ জামাল। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৭০ বলে ৯৬ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন ভারতীয় প্রশান্ত চোপড়া ও সোহাগ গাজী। দলের রানের চাকা সচল রাখতে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে তিন অংকে পা দেয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন চোপড়া ও গাজী। কিন্তু দু’জনের স্বপ্নই ভঙ্গ হয়। ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬০ বলে চোপড়া ৮৬ ও গাজী ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৪ বলে ৮৯ রান করে আউট হন। মিডল-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান অধিনায়ক রাজিন সালেহ শূন্য ও জিয়াউর রহমান ৭ রানে থেমে গেলে ম্যাচ হারের পথ দেখে ফেলে শেখ জামাল। তবে সপ্তম উইকেটে ৮১ বলে ৮৭ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন তানবীর হায়দার ও সানি। দলীয় ৩২০ রানে তানবীর ৭২ বলে ৭৭ রান করে আউট হলেও, ২ বল বাকী থাকতেই দলের জয়ের তরী তীরে ভেড়ান সানি। ৪৫ বলে অপরাজিত ৩৯ রান করেন তিনি।
এদিকে, হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে সুপার লিগে পা রাখলো জয়ের আকাশে উড়তে থাক গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্স। আগের রাউন্ডে কলাবাগান ক্রিড়া চক্রের কাছে ১২৭ রানে হেরে লিগে প্রথম ধাক্কা খায় গাজী। সেই ধাক্কার আঘাত ভুলে যাবার আগে, আবারো হোচট খেলো তারা। গতকাল শেষ রাউন্ডে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ৭ উইকেটে হারলো গাজী।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ২১৪ রানেই গুটিয়ে যায় গাজী। দলের পক্ষে মোমিনুল হক ৭৯ ও জহিরুল ইসলাম ৬৬ রান করেন। প্রাইম ব্যাংকের নাজমুল ইসলাম ৪৫ রানে ৩ উইকেট নেন।  জবাবে উইকেটরক্ষক ওপেনার জাকির হোসেনের ৬৬ ও ভারতীয় অভিমন্যু ইয়াস্বরনের ৫২ ও আল-আমিনের অপরাজিত ৪১ রানে ১৯ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় প্রাইম ব্যাংক। ম্যাচের সেরা হয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের জাকির হোসেন। এই জয়ে ১১ খেলা শেষে ১৬ পয়েন্ট সংগ্রহে আছে প্রাইম ব্যাংকের। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট আছে গাজীর।
এছাড়া, লিগে চতুর্থ জয়ের স্বাদ পেল কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। লিগের একাদশ রাউন্ডে কলাবাগান ৫ উইকেটে হারিয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে। সাভারের চার নম্বর মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০৪ রান করে খেলাঘর। দলের পক্ষে রাফসান আল মাহমুদ সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন। এ ছাড়া সাত নম্বরে নেমে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন আরিফুজ্জামান সাগর। কলাবাগানের সাদ নাসিম ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন। জবাবে ওপেনার উইকেটরক্ষক জসিমুদ্দিনের ৮৯ ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ৫৬ রানে ১৩ বল বাকী থাকতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কলাবাগান। জসিমুদ্দিনের ১০৫ বলের ইনিংসে ১১টি চার ছিলো। আর আশরাফুলের ১০৬ বলের ইনিংসে ছিলো ৩টি বাউন্ডারি। ম্যাচের সেরা হয়েছেন কলাবাগানের জসিমুদ্দিন।
এই জয়ে ১১ খেলা শেষে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহে আছে কলাবাগানের। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৬ পয়েন্ট খেলাঘরের।


 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন