শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

স্তরপ্রথা বাতিলপূর্বক সিগারেটের প্যাকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ৪০ টাকা নির্ধারণের দাবি

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের অবস্থান কর্মসূচি ও এনবিআরকে স্মারকলিপি

| প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ তামাকজাত দ্রব্যের উপর উচ্চহারে করারোপ ও তামাকের বর্তমান স্তর প্রথা বাতিল করে একটি শক্তিশালী তামাক শুল্ক নীতি গ্রহণের পাশাপাশি সিগারেটের প্যাকেটের প্রতি ১০ শলাকার সর্বনিম্ন মূল্য ৪০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানান বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সদস্য সংগঠন মাদকদ্রব্য ও নেশা বিরোধী কাউন্সিল (মানবিক), নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, অরুনোদয়ের তরুণ দল, গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটি, জনস্বার্থ ফাউন্ডেশন, ইয়ুথ সান, এলআরবি ফাউন্ডেশন, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, স্বচ্ছ ফাউন্ডেশন, স্বপ্নের সিড়ি সমাজকল্যাণ সংস্থাসহ বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠনের অংশগ্রহণে ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকজাতদ্রব্যের উপর উচ্চহারে করারোপ এবং মূল্যস্তর প্রথা বাতিলের দাবিতে’ অবস্থান কর্মসূচি এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
স্বচ্ছ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুমন শেখের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সদস্য ও নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা বলেন, গত অর্থবছর থেকে ৩ স্তর প্রথা প্রচলন রয়েছে। এ জটিল করস্তরপ্রথা ২/১টি দেশ ছাড়া আর কোথাও নেই। এ স্তর প্রথা তামাক কোম্পানীর ট্যাক্স ফাঁকির একটি সহায়ক পদ্ধতি। সে কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে কোম্পানী নানা কৌশলে এ স্তর প্রথা থেকে বের হতে দেয় না। এ স্তর প্রথা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় যেমন ক্ষতিকর, তেমনি রাজস্ব আদায়েও অত্যন্ত কঠিন। মানবিকের টেকনিক্যাল এডভাইজার এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের বোর্ড অব ট্রাস্টি এম রফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, গত বছর অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন ধীরে ধীরে জটিল এ করের স্তর কাঠামো বাতিল করবেন এবং সে লক্ষ্যে তিনি গত অর্থবছরে ৪ স্তর প্রথাকে কমিয়ে ৩ স্তর প্রথার প্রচলন করেন। একইসঙ্গে সিগারেটের সর্বনি¤œ মূল্য নির্ধারণ করলেন ২৩ টাকা। অথচ সম্প্রতি জানা যায়, অর্থমন্ত্রী তার পূর্বের প্রতিশ্রæতি থেকে সরে গিয়ে নি¤œ স্তর প্রথাকে আরও ২টি ভাগ করেছেন। একটির প্যাকেটমূল্য ২৭ টাকা এবং অন্যটির প্যাকেটমূল্য ৩৫ টাকা যার শুল্ক যথাক্রমে ৫২ ও ৫৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছেন। অর্থাৎ নি¤œ স্তর প্রথাকে ২টি স্তর করার ফলে পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় ৪ স্তর প্রথাকেই পূণর্বহাল করলেন অর্থমন্ত্রী। এ স্তরপ্রথা পূণর্বহালের ফলে নি¤œ শ্রেনীর জনগণ পূণরায় ধূমপানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বেন। জনস্বার্থ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডিএম সাকলায়েন বলেন, অর্থমন্ত্রী তামাক কোম্পানীর সাথে আপোষ করে জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার ঘোষণার সাথে বেঈমানী করলেন।
ডাবিøউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আক্তার রিনি বলেন, নি¤œ স্তর প্রথাকে ভেঙ্গে ২ টি স্তর প্রথা করা হলে দেশে তামাকের ব্যবহার বেড়ে যাবে। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ৫শতাংশ এ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেন সেখানে নি¤œ স্তর প্রথাকে ২টি স্তর করার কুটকৌশল প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায়কে অবমূল্যায়ন করার সামিল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অরুনোদয়ের তরুণ দলের সভাপতি শহীদুল ইসলাম বাবু, স্বপ্নের সিড়ির উম্মে সালমা, এলআরবি ফাউন্ডেশনের সুলতানা রাজিয়া, ইয়ুথ সানের বাপ্পি, স্বদেশ মৃত্তিকার প্রতিনিধি আকবর হোসেন, জনঅধিকার ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ হালদার প্রমুখ। অবস্থান কর্মসুচি শেষে র‌্যালীসহ বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মো. শামসুল ইসলামের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন