বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পাহাড়ি গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাত ৪’শ জনকে আসামী করে পুলিশের মামলা

যুবলীগ নেতা হত্যা : লংগদুতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

| প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাঙামাটি জেলা সংবাদদাতা : রাঙামাটির লংগদুতে যুবলীগ নেতা ও মোটর বাইক চালক নুরুল ইসলাম নয়ন এর হতাকান্ডের সুত্র ধরে উপজেলার ৩টি পাহাড়ী গ্রামে অগ্নিসংযোগসহ ও হামলার ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামী করে মামলা করেছে লংগদু থানা পুলিশ।
এই পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। উপজেলার উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় দুপুরের পর থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
তবে লংগদুর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং উপজেলায় পুলিশী টহল জোরদার থাকবে বলে শনিবার দুপুরে লংগদু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক বিশেষ আইন শৃঙ্খলা সভায় প্রশাসন সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাঙামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, লংগদু জোন কামান্ডার লেঃ কর্ণেল আব্দুল আলিম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদেিক লংগদু উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ ৩টি এলাকার লোকজন বাড়ী ঘরে ফিরে আসতে শুরু করেছে। অনেকে স্থানীয় বৌদ্ধ বিহার ও আত্মীয় স্বজনের বাসা বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদেরকে দূর্যোগকালীন সময়ে স্থাণীয় সেনা প্রশাসন খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।
এছাড়া স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপন করে পরবর্তীতে সহায়তা প্রদান করবে বলে আশ্বাস প্রদান করছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য রাঙামাটির লংগদুতে যুবলীগ নেতা ও মোটর বাইক চালক নুরুল ইসলাম নয়ন এর হত্যাকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ লোকজন লংগদু সদর, মানিকজোরছড়া ও তিনটিলাসহ বেশ কিছু গ্রামে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্থ পাহাড়িদের। আগুনে পাহাড়ি গ্রামে প্রায় শতাধিক ঘড়বাড়ী ভষ্মিভূত হয়েছে।
এদিকে বাঙ্গালীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে মোটর সাইকেল চালক ও যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতেই আঞ্চলিক দলের নেতার নেতৃত্বে সাধারণ পাহাড়িদের বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
S. Anwar ৪ জুন, ২০১৭, ৯:৪৭ পিএম says : 0
এভাবে বিপুল সংখ্যক অজ্ঞাত নামা লোকদের আসামী করার কোন মানে হয় না। এতে অযথা হয়রানি ভোগ করবে কতগুলো নির্দোষ-নিরীহ পাবলিক এবং গ্রেফতার বানিজ্যে লাভবান হবে সেই এলাকার পুলিশ সদস্যরা। মিয়ানমারে (বার্মায়) শত শত মুসলমানদেরকে জীবন্ত পুড়ে মেরেছে, ছোট ছোট শিশুদের সারিবদ্ধ করে শোয়ায়ে পেটের উপর দিয়ে মটর সাইকেল চালিয়েছে, মুসলিম নারীদের গনহারে ধর্ষন করেছে, গ্রামের পর গ্রাম পুড়ে ছারখার করে দিয়েছে, রোহিঙ্গাদেরকে দেশ ছাড়া করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে তার জন্য বার্মার পুলিশ বাহিনী কয়টি মামলা করেছে.???
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন