বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

আর্জেন্টিনার আত্ববিশ্বাস ফেরানো জয়

ব্রাজিলকে হারিয়ে শুরু সাম্পাওলি অধ্যায়

| প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে অভিষেকটা দারুণ হলো জর্জ সাম্পাওলির। হোক না তা নিছক একটি প্রীতি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচেই ‘চির শত্রæ’ ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়। তাও আবার তিতের অধীনে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা দলের টানা নয় জয়ে ছেদ চিহ্ন বসিয়ে। ১-০ ব্যবধানের জয়ে গোলটি করেন রিভার প্লেট থেকে সদ্যই সেভিয়াতে নাম লেখানো ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল মার্কাদো।
প্রীতি ম্যাচ হওয়ায় খাতা কলমে হয়তো এই জয়ের কোন মূল্য নেই। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে একের পর এক হোঁচট খেয়ে খাঁদের কিনারে চলে যাওয়া আর্জেন্টিনাকে এই জয় নিশ্চয় সামনের ম্যাচগুলোতে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের আবহ দেখে অবশ্য বোঝার উপায় ছিল না এটা নিছক একটি বন্ধুত্বের ম্যাচ। সন্ত্রসী হামলার ঝুঁকি উপক্ষো করে সাড়ে ৯৫ হাজারেরও বেশি দর্শক ম্যাচটি মাঠে বসে উপভোগ করেছে।
এদগার্দো বাউজার জুতোয় পা গলানো সাবেক সেভিয়া কোচ প্রথম ম্যাচেই দলে আনেন আমুল পরিবর্তন। ম্যাচ পরিচালনা করেন ৩-৪-৩ ফর্মেশনে। ত্রি-আক্রমণের মর্ধাহ্নে ছিলেন গঞ্জালো হিগুয়েইন, দুপাশ থেকে তাকে সহায়তা দিয়ে যান লিওনেল মেসি ও পাওলো দিবালা। প্রথমার্ধের আধিপত্য ছিল আর্জেন্টিনার। বিরতির আগ মুহূর্তে আসে কাঙ্খিত সেই গোলটি। ডি মারিয়ার ক্রসে হেড নেন হিগুয়েইন। কিন্তু বল বারপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ফিরতি বল ফাঁকা জালে পাঠিয়ে দেন মার্কাদো।
তবে নেইমারহীন ব্রাজিলও ছেড়ে কথা বলেনি। ভালো কয়েকটি সুযোগও তৈরী করে তারা। কিন্তু সার্জিও রোমেরো দেয়াল ভাঙতে পারেননি কৌতিনহো-জেসুসরা। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে আরো মরিয়া হয়ে ওঠে সেলেসাওরা। ৬৪তম মিনিটে সহজতম একটা সযোগও পায় তারা। কিন্তু গোলরক্ষক সার্জিও রোমোরোকে পেরুতে পারলেও ফাঁকা জালে বল পাঠাতে ব্যর্থ হন জেসুস। ছয় গজ দুর থেকে পোস্টে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন ম্যানটেস্টার সিটি স্ট্রাইকার। ম্যাচের শেষ তৃতীয়াংশে আবারো খেই হারিয়ে ফেলে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। নিকোলাস ওটোমেন্ডি ও লিওনেল মেসিরা অসাধারণভাবে বলের দখল ধরে রেখে ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেন।
এর পুরো কৃতিত্ব দিতে হয় সাম্পাওলিকে। নিজের কোচিং সক্ষমতার প্রমান দিয়েই মেসি-ডি মারিয়াদের দায়ীত্ব পেয়েছেন তিনি। স্বদেশী আর্জেন্টিনাকে হারিয়েই চিলিকে ২০১৫ কোপা আমেরিকা জিতিয়ে শুরু। এরপর সেভিয়ায় তার প্রথম ছয় মাস ছিল বলতে গেলে স্বপ্নীল। লা লিগার শিরোপা দৌড়ে প্রায় গা-ঘেঁসে চলছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার সাথে। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগীতায়ও ছিলেন একজন শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী। এবার আর্জেন্টিনা দলে প্রথম ম্যাচেই মেসি-দিবালাদের নিয়ে তার পরীক্ষাও সফল। ম্যাচ শেষে সেটাই জানান সাম্পাওলি, ‘মেসি ও দিবালা তাদের জায়গায় সেরা। তারা কিভাবে নিজেদের মধ্যে মানিয়ে নিতে পারে তা পরীক্ষার জন্য এমন প্রীতি ম্যাচ ভালো সুযোগ করে দেয়।’
কিন্তু প্রীতি ম্যাচ হলেও তিতের জন্য ম্যাচটি হয়ে থাকলো তেঁতো হয়েই। একটুর জন্য ‘পারফেক্ট ১০’টা হল না তার। দুঙ্গার পরিবর্তে সেলেসাও গুরু হওয়ার পর নয় ম্যাচের নয়টিতেই জয়, গোল ২৫টি! সেই জয়ের ধাঁরায় এদিন তো ছেদ পড়লই গোলও পাননি একটিও।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
সফিক ১০ জুন, ২০১৭, ২:৫৪ এএম says : 0
আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন।
Total Reply(0)
HossainMohammad Murad ১০ জুন, ২০১৭, ৪:১২ পিএম says : 0
wan der ful ?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন