বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আর নাও থাকতে পারে বাংলাদেশে-আন্তর্জাতিক মিডিয়া

প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ‘ইসলামিক রাষ্ট্র্র’ থেকে এবার বেরিয়ে আসতে চাইছে বাংলাদেশ। ইসলামকে তাদের রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে আর নাও রাখতে পারে ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হালে কয়েকটি হামলার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে আর না রাখার বিষয়ে বর্তমানে শুনানি চলছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় শুনেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর দেশটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ১৯৮৮ থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ধর্ম হয় ইসলাম। এ দেশের ৯০% বাসিন্দাই মুসলিম। বাকি ৮% হিন্দু ও মাত্র ২% খ্রিস্টানসহ অন্য ধর্মাবলম্বী। কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠনের হাতে সম্প্রতি কয়েকটি হামলার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে আর না রাখার জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতারা একযোগে বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছেন। তবে সে দেশের সাধারণ মানুষ এই বিষয়টিকে কতটা সমর্থন করবেন, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে।
গত মাসে একটি মন্দিরে ঢুকে খুন করা সেখানকার পুরোহিতকে। গুরুতর আহত হন তার দুই সহযোগীও। অভিযোগ করা হয় যে, জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ এবং আনসারুল্লা বাংলা টিম গত এক বছরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অন্তত সাতটি আক্রমণ চালায়। বাংলাদেশ সরকার অস্বীকার করলেও আইএসও গোপনে সে দেশে প্রভাব বিস্তার করছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার সেখানে জঙ্গিবাদের উত্থানকে আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, আইএস বাংলাদেশে কর্মী সংগ্রহ করছে। ব্রেইটবার্ট নামক একটি সংবাদ মাধ্যমকে বাংলাদেশি এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কথিত আইএস এর দায় স্বীকার করা প্রত্যেকটি ঘটনায়ই আমরা অভিযুক্ত অনেককে গ্রেফতার করেছি। হামলাকারীরা আদালতে অপরাধের স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাদের অনেকেই এটাও স্বীকার করেছে যে, তারা জেএমবির সদস্য। কিন্তু আইএসের সাথে তাদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে।
তবে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একজন পরিচালক গুরুত্ব দিয়েই বলেছেন যে, এসব হামলা আইএসেরই কাজ। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে দাখিল করা এক লিখিত নোটে জেমস ক্ল্যাপার ২০১৩ সালের পর থেকে প্রগতিশীল কয়েকজন লেখক, বিদেশী নাগরিক এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের ওপর হামলার অন্তত বড় ধরনের ১১টি ঘটনায় আইএসকে দায়ী করেছেন। এই সময়ের মধ্যে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে বাংলাদেশ রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বয়কট করেছিল। অন্যদিকে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামির নেতাদের বিচার চলছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, এশিয়া টাইমস, ডেইলি মেইল, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (13)
মোজাম্মেল ৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:২৭ এএম says : 1
এ ধরনের চিন্তা কেউ স্বপ্নেও করে থাকলে ভুলে যান।
Total Reply(0)
noman ৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:৪৪ এএম says : 0
90% musulmaner dese agula bole kibave? sochchar hon potibad korun, naile amrato, dongso hoye jabo
Total Reply(0)
মুহাম্মদ ওসমান গনী ৭ মার্চ, ২০১৬, ১১:০৩ এএম says : 1
আর কিছু থাক না থাক, এদেশে ইসলাম থাকবেই।
Total Reply(0)
Noyon ৭ মার্চ, ২০১৬, ১১:০৪ এএম says : 0
এটা হবে না
Total Reply(0)
Md Rony ৭ মার্চ, ২০১৬, ১১:৩০ এএম says : 0
এসরকার যদি এ কাজে সমর্থন করে তাহলে ধরেনেবেন এ সরকারের পতন আন্দোলনের সবচেয় কার্যকর ইস্যুই হবে এটা
Total Reply(0)
Murad Rashel ৭ মার্চ, ২০১৬, ১১:৩০ এএম says : 2
যদি রাষ্ট্রধর্ম থেকে ইসলাম তুলে দেওয়া হয় তাহলে...........................
Total Reply(0)
Nazmul Hasan Imran ৭ মার্চ, ২০১৬, ১১:৩২ এএম says : 0
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুন এবং কোরআনের পথে চলার তৌফিক দান করুক ...... আমীন ...।।
Total Reply(0)
md mizan ১০ মার্চ, ২০১৬, ৮:৩৬ এএম says : 0
ইসলাম মুসলীমদের মাথা, আর জারা মাথানিয়ে সড়যন্ত্র করবে তাদের ................. করা হবে, তাতে যদি ...........................
Total Reply(0)
Rasel Habib ১২ মার্চ, ২০১৬, ১০:২৬ এএম says : 1
আল্লাহর সৈনিকরা কোন দিন তা মেনে নিবে না এবং এ দেশ নাস্তিক দেশ হতে দিবে না।
Total Reply(0)
মেহেদী ১২ মার্চ, ২০১৬, ২:৪৫ পিএম says : 0
আমি রাস্তায় নামবো, শহীদ হওয়ার চান্স মিস করবনা.........
Total Reply(0)
হেদায়েত ২০ মার্চ, ২০১৬, ১২:৫৭ পিএম says : 2
ষড়যন্ত্রকারীরা চাইছে মুসলমানদের উস্কানি দিয়ে দেশে একতা নাশকতার সৃষ্টি করতে, তাছাড়া কোন ক্রমে তারা যদি সফল হয়েও যাই তাহলে বাংলাদেশের মুসলিমদের অবস্থা হবে ভারতের মুসলমানদের মত।এটা কোন ভাবেই হতে দেয়া যাইনা।
Total Reply(0)
Arman miah ২০ মার্চ, ২০১৬, ৩:১০ পিএম says : 0
আওয়া‌মি লিগ পু‌লিশ বা‌হিনী‌কে ব্যবহার ক‌রে নির্বাচন ও হেফাজ‌তে ইসলা‌মের ওপর নিযাতন ক‌রে সফল হওয়ায় ভাব‌ছে যা খু‌শি তা কর‌তে পার‌বে এটা‌কে স‌ত্যি ভাব‌লে দে‌শে আবার অরাজকতা সৃ‌ষ্টি হ‌বে কেননা দল মু‌ষ্টি‌মেয় ক‌য়েকজন ব্য‌ক্তির কিন্তু ধর্ম এ‌দে‌শের ৯০% মুসলমা‌নের
Total Reply(0)
jaber mahmud ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১১:৩১ এএম says : 0
eta muslim jibito thaka hobena in sa allah
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন