শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নির্বাচনে যারা জেতাবে তাদের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার -বেগম খালেদা জিয়া

| প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ যাদের হাতে রাখা দরকার তাদের অবাধ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে জিতিয়ে দিতে কাজ করছে তার। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সড়ক-মহাসড়কের বেহাল অবস্থার কারণে বর্তমান সরকারের আমলে সারাদেশে দূর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।সারাদেশেই এখন দূর্ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে। বিশেষ করে হাইওয়ের বেহাল অবস্থা, রাস্তার ছবি পত্র-পত্রিকায় আপনারা দেখেছেন। হাইওয়ের যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে দূর্ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়বে। এই সরকারের আমলেই আমরা প্রতিদিনই দেখছি মৃত্যু আর মৃত্যুর মিছিল। 
বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা কাটার নমুনা দেখলে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের অবস্থা বোঝা যায় বলে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ আকাশে উড়ে বেড়ায় তাই নিচে তাকানোর সময় পায় না। মহাসড়কের অবস্থার উন্নয়ন না ঘটলে মৃত্যুর মিছিল আরো বাড়বে। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রতি ইংগিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তারা (সরকার) অনেক উন্নয়নের কথা বলেন। কিন্তু রাস্তা-ঘাটের যে অবস্থা, গ্রামে-গঞ্জের রাস্তা-ঘাটের যে অবস্থা, সেটা দেখে কী বুঝা যায় উন্নয়ন হয়েছে দেশে? উন্নয়নের সুফল কী দেশের মানুষের কাছে পৌঁছেছে? যদি উন্নয়নের সুফল পৌঁছাতো তাহলে দেশের মানুষ দুই বেলা পেট ভরে খেতো, ভালোভাবে থাকতো, শান্তিতে থাকতো, আনন্দে থাকতো। রমজানে বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। পাবর্ত্য অঞ্চলে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করে আহতদের অবিলম্বে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান খালেদা জিয়া। একাদশ নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহনের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, সকল রাজনৈতিক দল যাতে ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারে, সেজন্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আর ভোটটা যাতে সকল মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেই ব্যবস্থা রাখার জন্য প্রয়োজন একটা নির্বাচনকালীন সরকার। যে সরকারটা সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারবে নির্বাচন কমিশনকে। কারণ হাসিনা সরকার তারা কিছু করবে না, তাদের প্রক্রিয়া ভিন্ন। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে চায় না। সেজন্য দেখেন, আজকে জনগণের এতো দুঃখ-দুর্দশা তাদের কিন্তু কোনো চিন্তা নেই। নিজেরা ভালো আছে, খাচ্ছে, আরো যতটুক রিলিফ আছে রিলিফ চুরি করছে, লুটপাট করছে, ব্যাংকের টাকা নিচ্ছে। এবার বাজেটে যত রকমের কর বসিয়েছে, ভ্যাট বসিয়েছে এবং মুদির দোকানেও ভ্যাট বসিয়েছে। তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম কী দেশের এই অবস্থা দেখতে। এক পরিবার সমস্ত কিছু দখল করে নেবে, কেউ গণভবন দখল
করে নেবে, অমুক বাড়ি দখল করবে, তমুক করবে। তাদের সব নিরাপত্তা দিতে হবে। শুধু তারাই নিরাপত্তা পাবে, সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নাই। গুম-খুন হচ্ছে, যাকে তাকে গুম করে নিয়ে যাচ্ছে। আজকে মানুষ পরিবর্তন চায়, এদেশের মানুষ আজকে জালেমদের কাছ থেকে মুক্তি চায়। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান তিনি। এসময় ইফতারে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমেদ, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মাহবুব উল্লাহ, এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতের মাওলানা আবদুল হালিম, জাগপার রেহানা প্রধান, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, খেলাফত মজলিশের শেখ গোলাম আজগর। বিএনপি নেতাদের মধ্যে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শাহজাহান ওমর, মীর মো. নাসির, রুহুল খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নাল আবেদীন, রুহুল আলম চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তাবিথ আউয়াল, রফিক শিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আ ফ ম ইউসুফ হায়দার প্রমুখ ইফতারে অংশ নেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Nur- Muhammad ১৪ জুন, ২০১৭, ১০:১০ এএম says : 0
মাননীয় নেত্রী, আপনার বক্তব্য ১০০% সঠিক। সরকারী ও আধাসরকারী কর্মচারী কর্ম কর্তারা দেশের জন্য যেমন কাজ করে তেমনি বেসরকারী কর্মচারী কর্মকর্তা, শ্রমিক, কৃষক ও মেহনতি মানুষ ও দেশের জন্য অবদান রাখছে। সরকার শুধু সরকারী লোকদের দফায় দফায় বেতন ভাতা বৃদ্ধি করছে। জনগণের উপর গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেক্স বাড়ায়ে এই বৃদ্ধি মিটাছে। ভোটের কার্য্য কলাপ সরকার, সরকারী লোকদের মাধ্যমে করায়ে থাকে। তাই তাহাদিগকে খুশি করার জন্য জনগণের উপর পাহাড় সম বোঝা চাপানো হচ্ছে। শুধু তাই নয় নিজ দলের ক্যাডার বাহিনীকে কেন্দ্র দখলের জন্য টাকা ও চাকরী দেওয়ার প্রকাশ্য ঘোষনা দেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতাকে আজীবন কুক্ষিগত করার জন্য ই সরকার এই কাজ করছে। সরকারী লোক ছাড়া জনগণের জীবন ধারন আজ কষ্টকর হয়ে উঠছে। সঠিক আন্দোলন ছাড়া জনগণের বাঁচার পথ নাই। সঠিক আন্দোলনে আগায়ে আসুন, দেশকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করুন। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
harun ur rashid ১৪ জুন, ২০১৭, ১:১৬ পিএম says : 0
I think Madam will done same what done by the present govt. This is called the reverse side of coin. Now we have need educated, brilliant,and courageous leader who could driven our nation in shinning path. In the ruling time (2001-2006 term) of BNP within 1 years 3 time increase the gas and electric rate. That time madam urged that the income increased the general peoples. This is the Politics of Bangladesh.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন