মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অনিশ্চিতের পথে ডিইউপি’র সমর্থন

কনফিডেন্স অ্যান্ড সাপ্লাই নীতির ভিত্তিতে সমর্থন প্রত্যাশা কনজারভেটিভ পার্টির

| প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিটেনের আগাম নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে জোট বাঁধার পরিকল্পনা করছিল থেরেসা মে’র নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি। জোট গঠন নিয়ে দুই দলের মধ্যে আলোচনাও শুরু হয়েছিল। তবে পারস্পরিক আলোচনায় কিছু সমস্যা উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ডিইউপি। দলের সিনিয়র নেতারা বলছেন, টোরিদের সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে আলোচনা প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোয়নি। সরকারে তাদের উপস্থিতিকেও নিশ্চিত মনে করার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন তারা। গত মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। ব্রিটিশ রানির ভাষণের ঠিক আগের দিনই ডিইউপির পক্ষ থেকে কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধায় অনিশ্চয়তার কথা বলা হয়ছে। এতে করে হাউস অব কমন্সে থেরেসা মে’র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের বিষয়টিও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকার গঠনের জন্য ডিইউপি’র কাছ থেকে কনফিডেন্স অ্যান্ড সাপ্লাই নীতির ভিত্তিতে সমর্থন প্রত্যাশা করছে কনজারভেটিভ পার্টি। এই নীতির আওতায় হাউজ অব কমন্সে যেকোনও ধরনের অনাস্থা ভোটে টোরিদের সমর্থন করতে হবে ডিইউপি সংসদ সদস্যদের। এছাড়া, বাজেট ও সরকারের ব্যয়েও কনজারভেটিভদের সমর্থন দেবে ডিইউপি সংসদ সদস্যরা। বিনিময়ে সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিগত সিদ্ধান্তে ডিইউপিকে সমর্থন করবে কনজারভেটিভ পার্টি। ডিইউপির পক্ষ থেকে জোট গঠন নিয়ে দুই দলের মধ্যে আলোচনায় আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার আহŸান জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, বেলফাস্টে কিছু ডিইউপি নেতা বলছেন, কনজারভেটিভ দলের পেছনের সারির কিছু নেতাদের কটূক্তি তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজটিকে কঠিন করে তুলেছে। এই ধোঁয়াটে পরিস্থিতির মধ্যেও কনজারভেটিভ প্রশাসনকে সমর্থন দেওয়ার মতো একটি চুক্তি হতেই পারে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়নিস্ট পার্টির ওই একই সূত্র। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে ব্রাসেলসের পথে রওনা দেওয়ার আগে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এই চুক্তি সই হওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য তাদের। ডিইউপি’র এই নেতারা বলছেন, কনফিডেন্স অ্যান্ড সাপ্লাই নীতির ভিত্তিতে যে চুক্তি দুই দলের নেতাদের মধ্যে হওয়ার কথা, তার ৯০ শতাংশ শর্তেই একমত দুই পক্ষ। বাকি সামান্য কয়েকটি বিষয়েই তৈরি হয়েছে মতপার্থক্য। এর মধ্যে একটি বিষয় হলো এয়ার প্যাসেঞ্জার ডিউটি। ডিইউপি চায়, উত্তর আয়ারল্যান্ডের জন্য এই শুল্ক প্রত্যাহার করা হোক। তবে সেক্ষেত্রে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও অন্যান্য এলাকার পক্ষ থেকেও একই ধরনের দাবি ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন