শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আফগানিস্তান থেকে দ্রুতই সেনা প্রত্যাহার হয়েছে

ন্যাটো প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ম্যাট্টিস

| প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে সংঘাত মোকাবেলায় দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন সৈন্যদের উপস্থিতি ছিল। পরবর্তীতে দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া হলেও তা অনেক দ্রুত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিস। ব্রাসেলসে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ম্যাট্টিস। যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করবে এ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্যে ন্যাটো মিত্রদের সামনে ভবিষ্যত কৌশল নিয়ে বক্তব্য রাখেন ম্যাট্টিস।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেন। তার এ বক্তব্য ন্যাটো মহাসচিবের ঠিক বিপরীত। ন্যাটো মহাসচিবের মতে, দেশটি থেকে আরো আগে সেনা প্রত্যাহার করা নেয়া উচিত ছিল। ২০১১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৩০ হাজার। ২০১৪ সালে আফগান সেনাবাহিনীর হাতে নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়ার  ফলে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। বর্তমানে দেশটিতে সাড়ে ১৩ হাজার ন্যাটো সৈন্য রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, অতীত পর্যালোচনা করলে এ বিষয়টিতে সবাই একমত হবেন যে, আমরা অনেক দ্রুত আমাদের সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। আমরা সৈন্য সংখ্যা আগেই কমিয়ে ফেলেছি। অন্যদিকে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ জোর দিয়ে বলেন, ২০১৪ সালে আফগানিস্তানে ন্যাটোর রণ ভূমিকার সমাপ্তি সঠিক ছিল। তিনি আরো বলেন, সম্ভব হলে তা আরো আগেই করা উচিত ছিল। এদিকে তালেবান জঙ্গি ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগান শাখাকে প্রতিরোধ করতে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা সংখ্যা তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে বলে কূটনৈতিক ও মার্কিন সূত্র আভাস দিয়েছে। ম্যাট্টিস বলেন, যুদ্ধের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়া যায় না। যুদ্ধ মৌলিকভাবে একটি অনিশ্চিত ঘটনা। মূল কথা হচ্ছে, ন্যাটো আফগানিস্তানকে ভীতি ও সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে। আর সন্ত্রাস থেকে মুক্তি দেয়া মানে এটি অসমাপ্ত রাখা যাবে না। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে ১৬ বছর ধরে সংঘাতের মুখে রয়েছে মধ্য এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান। ২০১৪ সালের শেষে ন্যাটো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দায়িত্ব আফগান সেনাবাহিনীর কাছে ন্যস্ত করে। তবে দেশটির সংঘাতময় পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেনি। সা¤প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে অসংখ্য সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাজধানী কাবুলে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় দেড়শর বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। বিবিসি,
রয়টার্স, এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন