বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ত্রিপুরার বিদ্যুতের দাম মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন পাচ্ছে আজ

প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বাংলাদেশ কী দামে ক্রয় করবে তা আজ বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদন পাবে। গত ৯ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত বৈঠকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দর সাড়ে পাঁচ রুপি (৬.৪৩ টাকা) নির্ধারণ করা হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আন্তঃগ্রীডের মাধ্যমে পালাটানা থেকে এই বিদ্যুৎ আনার সম্ভাব্য তারিখ রয়েছে ২৩ মার্চ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন। এ বিদ্যুৎ আনার জন্য বাংলাদেশ অংশে দক্ষিণ কুমিল্লা থেকে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত ১৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭.৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে। ভারত অংশে ২৪ কিমি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। উল্লেখ্য, ভারত ত্রিপুরার পালাটানায় ৭৭৬ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে সব ধরনের ভারী যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে নিয়ে যায়। এজন্য আশুগঞ্জ বন্দর এবং সেখান থেকে সড়ক পথ ব্যবহার করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সকল সরঞ্জামাদি ত্রিপুরায় নেয়া হয়। এসব সরঞ্জামাদি নিতে বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসাবে ব্যবহার করা হলেও এজন্য ভারতকে কোন ফি দিতে হয়নি।
এনিয়ে প্রশ্ন উঠলে ওই সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল-ভারত বন্ধুপ্রতিম ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসাবে এই সুবিধা পেয়েছে। তবে সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার বাংলাদেশের ঘাটতি মোকাবেলায় অন্তত ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমাদেরকে দিবে। এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবেই ত্রিপুরার পালাটানায় নির্মিত ৭৭৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই গ্যাসবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
বর্তমানে ভারত থেকে ভেড়ামারা দিয়ে ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে বাংলাদেশে। এবারের ১শ’ মেগাওয়াট আনার মধ্য দিয়ে ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ। আগের ৫শ’ মেগাওয়াটের মধ্যে ২শ’ ৫০ মেগাওয়াট আনা হয় ২.৫০ টাকা দরে। বাকী ৫০ মেগাওয়াট আনা হয় ৪.৫০ টাকা দরে।
পালাটানা থেকে বিদ্যুৎ আনার ক্ষেত্রে যে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে তাতে আছে, ভারত যখন বিদ্যুৎ দেবে; বাংলাদেশ তখনই টাকা পরিশোধ করবে। এর আগে, ভেড়ামারা দিয়ে ভারত থেকে ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ না ক্রয় করলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হতো। এবার সেই ক্যাপাসিটি চার্জ থাকছে না।  
জানুয়ারিতে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ব্যাপারে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রী মানিক দে ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ত্রিপুরা রাজ্য সরকার যে দামে বিদ্যুৎ দিচ্ছে তা আর্থিক মূল্য দিয়ে বিচার করা যাবে না, এটি সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য করা হয়েছে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আরও অনেক ব্যয় জড়িত থাকে, কিন্তু সেসব ধরা হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন