শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এমপি হাই-হানিফের নাম ভাঙিয়ে ইবিতে চাকরি আন্দোলন

প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইবি রিপোর্টার : কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই-এর নাম ভাঙিয়ে চাকরি দাবিতে আন্দোলন করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল (মঙ্গলবার) ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকারকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ রেখে আন্দোলন করে চাকরি প্রত্যাশীরা। চাকরি নিশ্চিত না হলে সিন্ডিকেট স্থগিত করতে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনে ভিসি অফিস অবরুদ্ধ করে তারা।
জানা যায়, চাকরি প্রত্যাশী আশিকুর রহমান জাপান, মিজানুর রহমান টিটু, মাহবুব হোসেন, রাসেল জোয়ার্দার, ইলিয়াস জোয়ার্দার, শফিকুর রহমান, মাসুদসহ ২০-২৫ জন চাকরি দাবিতে ভিসি অফিস অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় তারা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তিমূলক স্লোগান দিতে থাকে। তখন আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ বাহিনী দেখতে গেলে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। তখন তারা মাইকে ঘোষণা দেয় আমাদের আন্দোলনের সাথে মাহবুবউল আলম হানিফ, আব্দুল হাই, সাইদুল করিম মিন্টু একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। এখানে পুলিশ প্রশাসনের কি? পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভিসি সিন্ডিকেট সাময়িক স্থগিতের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় চাকরি প্রত্যাশীরা।
এর আগে চাকরি প্রত্যাশীরা বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনে হইহুল্লোড় করে প্রবেশ করে প্রত্যেক অফিস থেকে কর্মকর্তাদের বের করে দেয়।
চাকরি প্রত্যাশীদের সাথে একাত্মতার বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফের কাছে ফোন করলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন, ‘যারা আমার নাম ব্যবহার করে চাকরির আন্দোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলে দিয়েছি।’
ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি আব্দুল হাইয়ের সাথে কথা বললে জানান, ‘আমি তো কিছু জানি না। যারা আমার নামে এই আন্দোলন করার কথা বলছে তাদের কারো সাথে কথা হয়নি। আমি তাদের  দেখছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ‘ক্যাম্পাসের কোনো বিষয় নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। চাকরির নামে যারা আন্দোলন করছে তাদের সাথে আমার কোনো কথা হয়নি এবং আমি তাদের সাথে একাত্মতাও ঘোষণা করিনি।’
তিনি জানান ‘আমার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি প্রত্যাশী কারো সাথে যোগাযোগ হয়নি। আমি কিছু জানি না। কারা আমার নাম ভাঙিয়ে খাচ্ছে আমি খোঁজ নিচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়ার ব্যবস্থা করছি।’
এবিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার চিছিম বলেন,‘ বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সে হিবেসে আমরা কতৃপক্ষের আদেশ ছাড়া কিছু করতে পারিনা। তবে তারা যদি চাই আমরা সহযোগিতা করবো।’

এবিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন,‘সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অবস্থাটা বুঝতে পারছে। আমি একা কি করতে পারি। তারপরেও চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন