স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতি এবং বিচারাধীন বিষয় নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মন্ত্রীর নয়; একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে দিয়েছিলেন দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, সকল প্রশ্নের উত্তর আদালতের সামনেই দেব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি এবং বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করায় মঙ্গলবার খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে ১৫ মার্চ সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে এ দু’জনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে না-১৪ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে তাদের।
মঙ্গলবারই একটি কনফারেন্সে যোগ দিতে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সিঙ্গাপুরও যাব, গত ২ মার্চ জিও (সরকারি আদেশ) হয়ে গেছে। ১৬ বা ১৭ তারিখের দিকে দেশে ফিরব। কাজেই আদালতের কাছে আমাকে হয়তো সময় প্রার্থনা করতে হবে। আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনার নির্দেশ আমি দিয়ে যাব।
‘আপনি ধারণা করছিলেন কাসেম আলীর রায়ে হয়তো অন্যরকম কিছু হবে’ একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন শেষ করতে না দিয়েই খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আর কোনো প্রশ্ন করো না। আমি এখন আর কোনো প্রশ্নের উত্তর দেব না। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আমি আদালতের সামনে দেব। তিনি বলেন, যে বক্তব্য আমি রেখেছিলাম তা একজন মন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, ষোল কোটি মানুষের একজন হিসেবে দিয়েছিলাম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রার্থী হিসেবে ওইদিন আমাদের বক্তব্যটা ছিল। যত কথাই বলি না কেন আমি যে একজন মন্ত্রিসভার সদস্য এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
কামরুল বলেন, আদালতের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল, আদালত রুল জারি করেছে, কাগজ হয়ত পেয়ে যাব। আমি রুলের জবাব দেব। আদালত যেভাবে বলবেন আমি সে ভাবেই অগ্রসর হব।
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদ- বহালের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ রায়ে আমি অত্যন্ত স্বস্তি প্রকাশ করছি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, এ মামলার বাদী হিসেবে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আরেকটি সফলতা আমাদের ভা-ারে যোগ হল।
গত শনিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর আপিলের পুনঃশুনানির দাবি জানান। এ মামলার শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনাও করেন তিনি। একই সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলছি, এ রায় নিয়ে যে শঙ্কা এখন একটি সংকটে পরিণত হয়েছে। তবে এ সংকট আমাদের সৃষ্ট নয়। সংকট সৃষ্টি করেছেন আমাদের মাননীয় প্রধান বিচারপতি। এটাই আমাদের দুঃখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন