স্পোর্টস ডেস্ক : তার বিধ্বংসী সমাপ্তিতেই তৃতীয় ম্যাচে জিতেছিল ভারত। দুই বছর পর হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। অ্যান্টিগুয়ার একই পিচে এবার মহেন্দ্র সিং ধোনি খেললেন ঐতিহাসিক ধীরতম এক ইনিংস। তার মূল্য হিসেবে ভারতকে হারতে হলো ১১ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৮৯ রানের জবাবে ৪৯.৪ ওভার ব্যাট করেও লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ বিরাট কোহলির দল।
এজন্য ধোনির ১১৪ বলে ৪৭.৩৬ স্ট্রাইক রেটে ৫৪ রানের ইনিংসটি চোখে বিধছে। গত ১৬ বছরে ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি ছিল ধীরতম ফিফটির রেকর্ড (১০৮ বলে)। ২৫ রানের চেয়ে বড় ৪৯টি ইনিংসে এর চেয়ে কম স্ট্রাইক রেটে আগে কখনো ব্যাট করেননি ধোনি। দুই দশকেরও বেশি সময় পর এই প্রথম ভারতও ১৯০ রানের মধ্যে থাকা লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলো।
২৭ রানে ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট নেয়া জেসন হোল্ডার ছিলেন ম্যাচের নায়ক। তবে ম্যাচ শেষে জয়ের কৃতিত্ব কেসরিক উইলিয়ামসকে দেন হোল্ডার। অভিষেকের মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচে ধোনির মহামূল্যবান উইকেটটি নিয়ে শেষ আঘাতটি তো হানেন এই মিডিয়াম পেসারই। শেষ ৩৩ বলেও দেন মাত্র ১৪ রান। ধোনি যখন ফেরেন ভারতীয় ইনিংসে তখন বাকি মাত্র ৬ বল, তা থেকে করতে হতো ১৬ রান। তিন বলের ব্যবধানে ২ রানের খরচায় শেষ দুই উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে ১৭৮ রানে গুটিয়ে দেন হোল্ডার। ওপেনার আজিঙ্ক্যে রাহানে করেন সর্বোচ্চ ৬০ রান (৯১ বলে)।
এই ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতার প্রমাণ দেয় ক্যারিবীয়রা। অথচ টানা ১১ ম্যাচ পর ফিফটি প্লাস উদ্বোধণী জুটিতে (৫৭ রান) তাদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ¯েøা পিচে একসময় তাদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১২১। শেষ ৬৮ রান করতে তারা হারিয়ে বসে ৭ উইকেট। গত ১১ বছরে এই প্রথম পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করেও তারা দুইশ স্পর্শ করতে পারেনি (৯ উইকেটে ১৮৯ রান)। দলের সাত ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছালেও চল্লিশোর্ধ পেরুনো ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে করেন দুই ওপেনার ইভিন লুইস ও কাইল হোপ। উমেশ যাদব ও ঋদিক পান্ডিয়া নেন ৩টি করে উইকেট।
আগামী বৃহস্পতিবার কিংস্টনে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে সিরিজ বাঁচাতে লড়বে উইন্ডিজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন