বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

হানিফ ফ্লাইওভারের সিঁড়ি অপসারণ ভোগান্তি কমেছে

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : আদালতের আদেশের পর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের সিঁড়িগুলো অপসারণ করা হয়েছে। ফ্লাইওভারের উপরে বাস ও টেম্পু আর দাঁড়াচ্ছে না। ফ্লাইওভারের উপরে আগের মতো আর যানজট নেই। ভোগান্তি অনেকটাই কমে গেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে ডিএসসিসির ৫ নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদের উপস্থিতিতে সিঁড়িগুলো বন্ধ করে দেন কর্মচারীরা। ওই সময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিঁড়ির ওপর ও নিচের প্রবেশমুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এর পর সিঁড়িগুলোও অপসারণ করা হবে। সিঁড়ি বন্ধ করে দেওয়ার পরপরই সেগুলো অপসারণের জন্য পে- লোডার নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী। এরপর সিঁড়ি অপসারণ কাজ শুরু হয়। ওই দিন বিকেল পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ পয়েন্টের সিঁড়ি দুটির আংশিক অপসারণ করা হয়। প্রায় এক বছর ধরে সাতটি সিঁড়ি স্থাপন করে হানিফ ফ্লাইওভারের উপরে বাস ও টেম্পু স্ট্যান্ড বানানো হয়। যাত্রীরা সিঁড়ি দিয়ে ফ্লাইওভারের উপরে উঠে বাস ও টেম্পুতে চলাচল করতো। এতে করে ফ্লাইওভারের উপরে যানজট লেগে যেতো। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত ঘটতো দুর্ঘটনা। এ নিয়ে পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে বহু প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। কিন্তু সেগুলোকে অগ্রাহ্য করে কর্তৃপক্ষ ফ্লাইওভারের উপরেই বাস দাঁড়ানোর সব বন্দোবস্ত পাকাপোক্ত করে। এমনকি গাড়িগুলো যাতে স্বাভাবিক গতিতে চলতে না পারে সেজন্য আড়াআড়িভাবে ব্যরিকেড দেয়া হয়। এতে করে ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে চলতে গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হতো। এটাকে কেউ কেউ টাকা দিয়ে ভোগান্তি কেনার সাথে তুলনা করেছেন।
গত ১৯ ফেব্রæয়ারি হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার জন্য ছয়-সাতটি সিঁড়ি ও ফ্লাইওভারের ওপরে স্থাপিত বাসস্টেশন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল। গত সোমবার আদালত এসব সিঁড়ি অপসারণের নির্দেশ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন