শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইইউ-তুরস্ক শরণার্থী পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ

প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : শরণার্থী সঙ্কট কমাতে ইইউ ও তুরস্কের নতুন পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধর পর থেকে ইউরোপ বর্তমানে সবচেয়ে বড় শরণার্থী সঙ্কটের মুখে পড়েছে। গতবছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ইইউ’য়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। তারা প্রধানত তুরস্ক থেকে গ্রিসে গেছে। তাদের বেশির ভাগই সিরীয়। ইইউ প্রধানরা বলছেন, সঙ্কট সামাল দিতে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ দরকার। এর আওতায় তুরস্ক থেকে গ্রিসে পৌঁছানো সব অভিবাসীকে ফিরিয়ে নেবে আঙ্কারা, ফের নেয়া হবে সিরীয়দেরকেও। আর তুরস্কে ফেরা প্রতিটি সিরীয়র বিনিময়ে দেশটিতে বৈধভাবে বাস করা একজন করে সিরীয়কে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পুনর্বাসন করা হবে। কিন্তু জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা বলেছে, বিদেশিদেরকে দলে দলে ফিরিয়ে দেওয়াটা ইউরোপীয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল পরিকল্পনাটিকে আশ্রয়প্রার্থীদের অধিকারের ক্ষেত্রে একটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে। ব্রাসেলসে গত সোমবারের সম্মেলনে আলোচিত চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়নি এবং ১৭-১৮ মার্চে ইইউ বৈঠকের আগ পর্যন্ত আলোচনা চলবে বলে জানিয়েছে।
অপর এক খবরে বলা হয়, গ্রিস থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের তুরস্কে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তুরস্ক আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ সম্মেলন শেষে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লোদ ইয়ুংকার এ কথা জানান। গত সোমবার দীর্ঘ আলোচনা শেষে ইইউ-এর সঙ্গে শরণার্থী ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছায় তুরস্ক। ইইউ-র ২৮ সদস্য দেশের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু গুরুত্বপূর্ণ এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। ইউরোপের শরণার্থী সংকটে তুরস্ক এখন অনেকাংশেই নিয়ন্তার অবস্থানে। সিরিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে তুরস্ক হয়েই গ্রিসে প্রবেশ করছে অভিবাসন প্রত্যাশীরা। সে কারণেই তুরস্কের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে শরণার্থী সংকট নিরসনের এই উদ্যোগ। মঙ্গলবার জঁ-ক্লোদ ইয়ুংকার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ব্রাসেলসের বৈঠকে এ সংকট নিরসনের পথে অনেকটাই অগ্রসর হওয়া গেছে। তিনি জানান, গ্রিস থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে তুরস্ক।
জার্মানির চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেলসহ ইইউ-র অন্যান্য নেতারাও মনে করছেন, ইইউ-তুরস্কের এই সমঝোতার মাধ্যমে শরণার্থী সংকটে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে মনে করেন। এর ফলে ইউরোপে অবৈধ অভিবাসীদের আগমন বন্ধ হবে বলেও তাদের আশা। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর অবশ্য বলকান অঞ্চল দিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ইউরোপে প্রবেশ বন্ধ করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে। সিরিয়ার চলমান যুদ্ধের কারণে যারা ইউরোপে আশ্রয় নিতে চান তাদের জন্য অভিবাসনের সুযোগ থাকা উচিত বলে সংস্থাটি মনে করে। বিবিসি,ডিডাব্লিউ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন