বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মালয়েশিয়া সরকার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করছে -প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেছেন, মালয়েশিয়ার সরকার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে বাংলাদেশ সরকার কোনো সিন্ডিকেট করেনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়া সরকারের কাছে প্রায় ১ হাজার ১শ’ এজেন্সির তালিকা পাঠিয়েছে। কিন্তু তারা সেখানে মাত্র ১০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার অনুমোদন দিয়েছে। ১০টিতে রাজি না হলে তারা মালয়েশিয়ার বাজার আবারও বন্ধ করে দিতে পারত। তাই আমরা এ নিয়ে আর কোনো কথা বলিনি। গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় অবৈধ বাংলাদেশি প্রবাসীদের বিরুদ্ধে দেশটির সরকার অভিযান বন্ধ করেছে। কারণ, তাদের দেয়া সময় অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত অবৈধদের বৈধতার জন্য সময় রয়েছে। কিন্তু তারা হঠাৎ করেই অভিযান শুরু করেছে। এরপরই সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হলে তারা অভিযান বন্ধ করে। সরকার জাপান ও রাশিয়াসহ আরো বেশ কিছু নতুন শ্রমবাজার খোলার ব্যাপারে কাজ করছে বলেও জানান নূরুল ইসলাম। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব জাবেদ আহমেদ বলেন, অভিবাসন ব্যয় ও মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট নিয়ে নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে অনেক সমস্যার সমাধান একদিনে করা যাবে না।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। তাই আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না। যেসব বিষয়ে কোনো মামলা নেই, আমরা সেসব বিষয় নিয়ে কাজ করছি। অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় প্রসঙ্গে সচিব বলেন, সরকার অভিবাসন ব্যয় নিয়ে কাজ করছে। আমাদের অভিবাসন ব্যয় অনেক বেশি। পৃথিবীর অনেক দেশেই অভিবাসন ব্যয় এত বেশি নয়। তারা যতদূর সম্ভব অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে কর্মী পাঠাতে চেষ্টা করে। যে কারণে নেপালের শ্রমিক এখন বিভিন্ন দেশে বাড়ছে। আমাদেরও এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে পড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জনশক্তি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সেলিম রেজা বলেন, বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হচ্ছে না, বরং কর্মী পাঠানোর পরিমাণ বাড়ছে। এর আগে এক বছরে আমরা সর্বোচ্চ ৮ লাখ ৭৫ হাজার কর্মী পাঠাতে পেরেছি। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম সাড়ে ছয় মাসে এখন পর্যন্ত কর্মী পাঠানো হয়েছে ৫ লাখ ৫৪ হাজার। যা বছর শেষে অতীতের রেকর্ড ভেঙে ১০ লাখ অতিক্রম করবে। বিভিন্ন দেশে এখনো ভিসা বিক্রির মতো ঘটনা ঘটায় দেশের অভিবাসন ব্যয় কমানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ভারত, ফিলিপিন, শ্রীলংকা ও নেপালের শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ১৫ দিন থেকে ২৮ দিনের মধ্যে। সেখানে বাংলাদেশে লাগে আড়াই মাস। এ অবস্থা দূর করতে পারলে শ্রমিকদের দুর্ভোগ কমে আসবে। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বায়রার সাবেক মহাসচিব মনসুর আহমেদ কালাম ও বায়রার সহ-সভাপতি আবদুল হাই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন