বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কাউন্সিলের গোপনীয়তা নিয়ে দুশ্চিন্তায়-বিএনপি

প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আফজাল বারী : জমকালো কাউন্সিলের প্রস্তুতি বিএনপির। কিন্তু কাউন্সিলের লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছে। গতকাল আলাপকালে কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির একাধিক নেতা ইনকিলাবকে জানান, নানা নাটকীয়তার পর যে হলটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার আসন সংখ্যার চেয়ে বিএনপির কাউন্সিলরই আছে প্রায় চারগুণ। হলে বসাতো দূরের কথা দাঁড়ানো অসম্ভব। তাহলে কাউন্সিলের গোপনীয়তা রাখা যাবে কী করে? বিএনপি মনে করে, পরিকল্পিতভাবে এই দুশ্চিন্তার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে, তবে চক্রান্তের জাল ছিঁড়ে নতুন করে জেগে উঠবে নেতাকর্মীরা। কাউন্সিল হবে এবং সফলভাবেই- এ দৃঢ় বিশ্বাস বেগম খালেদা জিয়াসহ দলটির নেতৃবৃন্দের।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নিবন্ধন বিধিমালা (আরপিও) অনুযায়ী, যথাসময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাউন্সিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিএনপির সর্বশেষ পঞ্চম কাউন্সিল হয়েছিল ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর, শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। দলীয় গঠনতন্ত্রে তিন বছর পর পর কাউন্সিল অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও ছয় বছরের বেশি সময় পর দলটির ষষ্ঠ কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। এর আগেও প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিলো কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এবার ১৯ মার্চ বিএনপির কাউন্সিল। প্রধম ধাপ চেয়ারপার্সন ও সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচন কাজ সম্পন্ন হবার পথে।
এদিকে জাঁকজমকপূর্ণ কাউন্সিল করবার জন্য প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক বেগম খালেদা জিয়া ১১টি উপ কমিটি করে দিয়েছেন। তাদের কাজও শেষ পর্যায়ে। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পোষ্টার-দেয়াল লিখন, লাইটিং করার অনুমতি নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের।
দফতর সূত্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে (১৬ মার্চ) কাউন্সিলর কার্ড বিতরণ শুরু হবে। এর সংখ্যা ২৮ হাজারের বেশি। এছাড়াও ডেলিগেট থাকবে ২ হাজার। থাকবেন বিদেশী মেহমানও।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, কাউন্সিলের দুটি অধিবেশন হবে। প্রথম অধিবেশন (সম্মেলন) উন্মুক্ত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ধারণা করা হচ্ছে তাতে লোকসংখ্যা দাঁড়াতে পারে কয়েক লাখ। দ্বিতীয় অধিবেশন রুদ্ধদ্বার। গত কাউন্সিল থেকে জমানো অভিযোগ, সমস্যা, সম্ভাবনাসহ নেতা নির্বাচনের জন্য মতামত দিবেন। প্রয়োজনে তা ভোটের দিকে গড়াতে পারে। প্রতি বছর এটি অতি গোপনে সম্পন্ন করা হয়। এবার এই অধিবেশন হবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তনে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশনের সুপারিনটেনডেন্ট নূরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, বিএনপিকে যে মিলনায়তন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাতে আসন সংখ্যা ৮৩০। বরাদ্দের বাইরে অন্য হল ব্যবহার করতে দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ। কিন্তু চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশন। সারা দেশে কাউন্সিলরের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। এদেরকে দীর্ঘ সময় আবদ্ধ ঘরে থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়ভাবে সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে তারা খোলামেলা বক্তব্য রাখবেন। কিন্তু সরকারের বরাদ্দ দেয়া মিলনায়তনে সকল কাউন্সিলরকে বসানো সম্ভব হবে না। প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা করে তাদেরকে বাইরে বসানো হলে এবং মাইকের ব্যবস্থা করলে কাউন্সিলের লক্ষ্য উদ্দেশ্যই পানিতে যাবে। সব মিলিয়ে এটি চিন্তার বিষয়। কিভাবে সমাধান করা হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান শ্রমিক নেতা নোমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন