ইনকিলাব ডেস্ক : আলোচনার মাধ্যমে উপসাগরীয় অঞ্চলের চলমান সঙ্কট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। জুনে চার আরব দেশের আরোপিত অবরোধের পর গত শুক্রবার জনগণের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। টেলিভিশনে প্রদত্ত ভাষণে কাতারের আমির তার দেশের বিরুদ্ধে দূষিত ও মিথ্যা প্রচার চালানোর অভিযোগ আনেন এবং অবরোধ প্রতিরোধে জনগণের ভূমিকার প্রশংসা করেন। আপনারা দেখছেন কাতারের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক আছে। এখন সময় এসেছে সরকারগুলোর বিরোধ থেকে জনগণকে সরিয়ে রাখার। এই অভাবনীয় সঙ্কট সমাধানে আমরা আলোচনার দরজা খোলা রেখেছি, তবে যে সমাধানই হোক না কেন তা হতে হবে কাতারের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, উল্লেখ করেন আমির। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও আঞ্চলিক প্রতিদ্ব›দ্বী ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ তুলে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে সউদী আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। অবরোধ প্রত্যাহারে কাতারকে ১৩ দফা দাবিও দেয় দেশ চারটি, যার মধ্যে আছে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এবং কাতারে তুরস্কের ঘাঁটি বন্ধ ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। সব অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি কাতার তাকে দেয়া দাবিগুলোও প্রত্যাখ্যান করেছে। বলেছে, সার্বভৌমত্ব ক্ষুণœ হয় এমন দাবি কাতার মেনে নেবে না। খবরে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর অবরোধ ২৭ লাখ অধিবাসীর জীবনে যেন কোনো ধরনের প্রভাব না ফেলে সেজন্য আকাশ ও সমুদ্রপথ দিয়ে খাদ্য আমদানি করেছে গ্যাস সমৃদ্ধ কাতার। সঙ্কট সমাধানে পশ্চিমা দেশগুলো ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কুয়েত চার আরব দেশের সঙ্গে কাতারের বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করছে। ভাষণে কুয়েতের ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। কাতারের আমির ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমালোচনা করেন। তিনি ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেন বলেও রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত শুক্রবার অবরোধ দেওয়া চার দেশ বলেছে, কাতার ছয়টি মূলনীতিতে একাত্ম হলে তারা অবরোধ প্রত্যাহারে রাজি হবে। নীতিগুলোর মধ্যে আছে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার এবং সব ধরনের প্ররোচনা ও উস্কানি বন্ধ করা। এই প্রস্তাবের বিষয়ে কাতারের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন