ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। তাকে আহত অবস্থায় মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় ২০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বিএনপির আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মনে করছে। মহেশপুর থানার উপ-পরিদর্শক সানজিদ আহম্মেদ জানান, মহেশপুর পৌরসভা মার্কেটে বৃহস্পতিবার উপজেলা ছাত্রদলের সভা ছিল। সেই সভায় অংশ নিতে আসেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান। তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে বিএনপি কর্মী রুমেল, ওমর আলী, গোল্লা, ফারুক ও হারুনের নেতৃত্বে একদল উশৃংখল ব্যক্তিরা মোমিনের উপর হামলা চালায়। লোহার রড ও ইট দিয়ে মোমিনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও তিনি জানান। এ সময় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মোমিনকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। মহেশপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, ছাত্রদলে কোন কোন্দল নেই। মুলত বিএনপির কোন্দলের কারণেই মোমিনের উপর হামলা হয়েছে। মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, অভিযোগ পেলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য মহেশপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোন্দল চলে আসছে। যোগ্য ও রাজপথের পরিক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে অসুস্থ ও ঢাকায় থাকা ব্যক্তিদের দিয়ে বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। মহেশপুরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা জানান, বুধবার স্থানীয় নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে মহেশপুর ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে চারিদিকে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রদলের নতুন এই কমিটি নিয়ে মোমিন বৃহস্পতিবার দুপুরে মহেশপুর শহরে আসলে প্রচণ্ড ক্ষোভ থেকেই তার উপর হামলা চালায় নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টার অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুর রয়েছেন। তিনি প্যারালাইজড হয়ে পঙ্গু। ঠিকমতো কথাও বলতে পারেন না। মহেশপুর নেতাদের অভিযোগ এমন একজন ব্যক্তিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বানিয়ে দলকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন