শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দায়মুক্তি চায় খুলনা বিএমএ

প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন খুলনা শাখা ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা ও অপ্রতুল উপকরনের কারণে মানহীন চিকিৎসা দেয়ার পরিবেশ বন্ধ এবং ডাক্তারদের জন্যে দায়মুক্তির ব্যবস্থা করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে। সে সব দাবি পূরণ না হলে মর্যাদা, নিরাপত্তা ও অধিকারহীন অবস্থায় তারা চিকিৎসা দেয়া থেকে বিরত থাকবেন বলে সাবধান বাণী উচ্চারণ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম এসব দাবি তুলে ধরেন। তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসককে মারপিটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার মূল আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিলেও আইনী লড়াই করার ঘোষণা করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জনগণের চিকিৎসা চাহিদার বিপরীতে রাষ্ট্রের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অসংগতি রয়েছে। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবকাঠামো, জনবল, প্রযুক্তি ও উপকরণ ২৫০ রোগীর চিকিৎসার উপযোগী। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা করতে হয় ৭৫০ রোগীর। তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অর্গানোগ্রামে জরুরী বিভাগ নেই এবং সে বিভাগের কোন জনবল, ডাক্তার বা উপকরণ নেই। অথচ ডাক্তারদের ২৪ ঘন্টা জরুরী বিভাগের চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে। এসব অসঙ্গতির জন্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অসম্পূর্ণ ও নি¤œমানের চিকিৎসা হয়। ক্ষুব্ধ হন রোগী ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা। তাদের আক্রমনের শিকার হন ডাক্তাররা। লাঞ্ছিত ডাক্তাররা বিচার চেয়ে পান না এবং নিরাপত্তাও পান না। তাদের প্রতিবাদের পথ রুদ্ধ হয় এবং তারা অধিকারহীন হয়ে পড়ে চিকিৎসা দেয়া বন্ধ করেন, তখন রাষ্ট্র ও তার কর্ণধাররা কৌশল অবলম্বন করে বলেন, রোগীকে জিম্মি করে চিকিৎসকদের প্রতিকার চাওয়া খুবই অন্যায় ও অপরাধ। চিকিৎসকরা এখন হাসপাতালসমূহে উপরের রাষ্ট্র ও নিচের জনগনের চাপে স্যান্ডউইচ হয়ে পড়েছেন।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় ডাক্তারদের জনগণের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে হলে প্রথমে উল্লিখিত দাবির সাথে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, জনবল, প্রযুক্তি, রোগ নির্ণয়ের আধুনিক সরঞ্জাম ও উপকরণ না থাকলে সেখানে ডাক্তারদের না পাঠানো ও বাধ্য না করা,  হাসপাতালসমূহে যেসব বিভাগের অর্গানোগ্রাম নেই ও যার বিপরীতে বরাদ্দ নেই সেসব বিভাগ চালু না করা, চিকিৎসা বিজ্ঞান বিশ্বময় ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবে স্বীকৃত বলে চিকিৎসককে ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি দেয়া এবং হাসপাতালসমূহে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা রক্ষী বা পুলিশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তার ভাষায় রাষ্ট্রের চিকিৎসা অব্যবস্থার দায় ডাক্তারদের ওপর চাপিয়ে তাদের খুনের মামলার আসামি করার এ রাষ্ট্রীয় কৌশল আর চলতে দেয়া যাবে না। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ, ডা. শওকত আলী লস্কর ও ডা. গাজী মিজানুর রহমান প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন