শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

আমাদের দেশে গীতিকারদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয় না-শফিক তুহিন

প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আশিক বন্ধু ঃ গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী তিন মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন শফিক তুহিন। গান লিখে জাতীয় পুরস্কারও অর্জন করেছেন। এই শিল্পীর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয় বিনোদন প্রতিদিনের।
এ সময়ে ব্যস্ততা কি নিয়ে?
-আমার ৫ম নতুন একক অ্যালবামটির কাজ করছি। বৈশাখে এটি সুরাঞ্জলীর ব্যানারে রিলিজ হবে। এরইমধ্যে টিনার সাথে একটি দ্বৈত গান গেয়েছি। গানটির ভিডিও প্রকাশ হবে সাউন্ডটেকের ব্যানারে। এছাড়া শিল্পী লেমিসের একক অ্যালবামটির কাজ করছি। জাকির হোসেন রাজুর অনেক দামে কেনা সিনেমার জন্য গান লিখেছি। আমার কথা ও সুরে গানটি গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন ও সৈয়দ আব্দুল হাদী।
গীতিকার সুরকার ও শিল্পীÑএ তিন মাধ্যমে কাজ করা কি একটু কঠিন নয়?
-কঠিন তো বটেই। এর জন্য অনেক শ্রম দিতে হয়। শ্রম দেয়ার পাশাপাশি কাজ করার সময় অনেক ভেবে চিন্তে সাধনা করে যাচ্ছি। আমি মনে করি, সাধনার বিকল্প নেই। সাধনা করেই কঠিন কাজকে আয়ত্তে আনতে হয়। যখন একটি গান করি, লক্ষ্য থাকে গানের মানটা যাতে ভালো হয়।
গানের সাথে অপনার সম্পৃক্ততা কিভাবে ঘটে?
-১৯৯৫ সালে আমার লেখা প্রথম গানটি রেকর্ড হয়। মনোয়ার হোসেন টুটুলের সুরে শাকিলা জাফর গানটি গেয়েছিলেন। তারপর ২০০১ সালে প্রথম অডিও অ্যালবামে দুটি গান লিখেছি আইয়ুব বাচ্চুর সুর সঙ্গীতে মন জ্বলে অ্যালবামে। গান দুটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। সেই থেকে গান লেখার আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা বাড়তে থাকে। এভাবে গানের জগতের সাথে জড়িয়ে পড়ি।
একজন গীতিকারকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
-গীতিকার হচ্ছেন একটি গানের জন্মদাতা। তাকে ছাড়া তো গানই হবে না। শুধু সুর ও সঙ্গীত দিয়ে তো গান হয় না। কথা লাগে। দুঃখজনক হলো, গীতিকারদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। তারা প্রাপ্য সম্মানী পাচ্ছে না। একজন সুরকার ও কম্পোজিটর যে সম্মানী পায়, গীতিকারদের সে সম্মানিটুকুও দেয়া হয় না। বিশে^র অনেক দেশে গীতিকাররাই সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পায়। রেডিও, টেলিভিশন, ইউটিউব, স্টেজ সব জায়গা অর্থাৎ কমার্শিয়াল যে কোন জায়গায় গান গাইলে গীতিকারের সম্মানী দিতে হয়। এ জন্য রিয়্যালিটি অর্গানাইজেশন আছে। কিন্তু আমাদের দেশে তা নেই। ফলে গীতিকাররা একপ্রকার অবহেলিতই রয়ে গেছে। এর পরিবর্তন হওয়া দরকার। গানের জন্মদাতাকে যথাযথভাবে সম্মান করা উচিত।
আপনার গানে প্রেম, বিরহ, আনন্দ-বেদনার প্রাধান্য বেশি পায়। এতোদিকে কিভাবে মনসংযোগ করেন?
-দেখুন, একজন গীতিকারকে মানুষের মনোজগতের সবকিছুই উপলব্ধি করতে হয়। সে অনুযায়ী গান লিখতে হয়। তা নাহলে সব শ্রেণীর শ্রোতা গান কেন শুনবে? একজন গীতিকার হিসেবে আমাকেও মানুষের মনকে অনুসরণ করতে হয়। এ অনুসরণ যে সবসময় সঠিক হয়, তা কিন্তু নয়। সঠিক হলে গানটি শ্রোতারা নিজের বলে লুফে নেয়। তা নাহলে গানটি ব্যর্থ হয়। এই সাফল্য ও ব্যর্থতার মধ্য দিয়েই একজন গীতিকার পরিপক্ব হয়ে উঠে। আমি এ ধারাটিই অনুসরণ করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Ali Akkas ১১ মার্চ, ২০১৬, ১০:৩২ এএম says : 0
ঠিক কথা
Total Reply(0)
Mehedi Hasan Shuvo ১১ মার্চ, ২০১৬, ১০:৩৩ এএম says : 0
সত্য কথা
Total Reply(0)
Nipun Nuri ১১ মার্চ, ২০১৬, ১০:৩৩ এএম says : 0
of course
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন