শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দ. সুদানে কন্টেইনারে শ্বাসরোধ করে ৬০ জনকে হত্যা করেছে সরকারী বাহিনী -অ্যামনেস্টি

প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করেছে যে দক্ষিণ সুদানের সামরিক বাহিনী জাহাজের একটি কন্টেইনারে ঢুকিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে শ্বাসরোধ করে ৬০ জনের বেশী লোককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা এটাকে গণহত্যা বলে বর্ণনা করেছে। প্রমাণ থাকার কথা উল্লেখ করে তারা এ কথা জানিয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, পরে এসব লাশ ইউনিটি রাজ্যের লিয়ার টাউনে একটি মাঠে ফেলে দেয়।
এদিকে পৃথক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘ ও বেসামরিক নাগরিকদের নির্মমভাবে হত্যা ও নারীদের ধর্ষণ করায় দক্ষিণ সুদানের সরকারী সৈন্যদের দায়ী করে।
তবে সরকার তাদের দেশের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তোলা এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষকরা জানান, তারা এ হত্যাকা-ের বিভিন্ন কঙ্কাল উদ্ধার করেছে। গত অক্টোবরে সেখানে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে দক্ষিণ সুদানে অস্থিরতায় হাজার হাজার লোক প্রাণ হারায় এবং লাখ লাখ লোক গৃহহীন হয়ে পড়ে।
অ্যামনেস্টির লমা ফকিহ বলেন, জনগণকে যাদের নিরাপত্তা দেয়ার কথা দক্ষিণ সুদানের সেই সরকারী বাহিনীর হাতে ধীরে ধীরে দম বন্ধ হয়ে ৬০ জনেরও বেশী লোকের মৃত্যু হয়। এই হত্যাকা-ের ঘটনার অবশ্যই তদন্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, অ্যামনেস্টির গবেষকরা এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে ৪২ জনেরও বেশী লোকের সাথে কথা বলেছে। তাদের মধ্যে ২৩ ব্যক্তি রয়েছেন যারা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরকে জোর করে এসব লোককে একটি জাহাজের কনটেইনারে তুলে নিতে দেখেছেন এবং পরে তাদের লাশ সেখান থেকে সরিয়েও নিতে দেখেছেন।
দক্ষিণ সুদান সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রেফতার, নির্যাতন ও বন্দীদের নির্বিচারে হত্যা করার এই ঘটনা যুদ্ধ আইনেরও চরম লংঘন। বেসামরিক লোকদের বেআইনীভাবে আটক রাখা, নির্যাতন চালানো ও ইচ্ছাকৃত হত্যাকা- চালানো  মানবতাবিরোধী অপরাধ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০ থেকে ২৩ অক্টোবর সরকারী বাহিনীর সৈন্যরা লুয়াল গ্রাম ও লির শহর থেকে বালকসহ অনেক ব্যক্তিকে হাত ও চোখ বেঁধে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপর তাদেরকে কম্বনি ক্যাথলিক চার্চ এলাকায় অবস্থানরত জাহাজের কনটেইনারে জোর করে ঢুকিয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা কনটেইনারের ভেতর থেকে বন্দীদের আর্তচিৎকার শুনেছেন বলেও জানান। তারা বলেন, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ ঘটনা জানতেন কিন্তু বন্দীদের জীবন বাঁচাতে তারা কোন কিছুই করেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলেন, গণহত্যার শিকার এসব লোকের মধ্যে কোন যোদ্ধা ছিলো না। তারা ছিল গবাদীপশুর রাখাল, ব্যবসায়ী ও ছাত্র। সূত্র : আল জাজিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন