স্টাফ রিপোর্টার : যেকোনো মূল্যে রাজধানীতে ছিনতাই প্রতিরোধসহ এ সংক্রান্ত মামলাগুলোর রহস্য উদঘাটন করে দ্রæত প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল শনিবার ডিএমপি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে কোনো মূল্যে রাজধানীর ছিনতাই প্রতিরোধ করুন। এটিকে আর বাড়তে দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া আগের ছিনতাই মামলাগুলোর রহস্য উদঘাটন করুন। যেখানে অন্য অপরাধ কমে এসেছে, সেখানে ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা বেড়ে গেছে। তাই ছিনতাই বাড়তে না দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের তৎপর হয়ে এটাকে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। তাহলে নগরবাসী স্বস্তিতে বাস করতে পারবে। মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ঠেকাতে জনসচেতনা বৃদ্ধির কার্যক্রম হাতে নিন। সেক্ষেত্রে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের পাশাপাশি বিট পুলিশিং কার্যক্রমকেও জোরদার করুন। মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে ডিএমপিতে কর্মরত কনস্টেবল থেকে শুরু করে অতিরিক্ত কমিশনার পর্যন্ত মোট ৬৩ জনকে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়। কনফারেন্সে পুলিশের মিরপুর বিভাগকে শ্রেষ্ঠ বিভাগ, মিরপুর জোনের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (এসি) কাজী মামবুব আলমকে শ্রেষ্ঠ এসি, শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুবকর সিদ্দিককে শ্রেষ্ট ওসি, দারুস সালাম থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) ফারুকুল আলমকে শ্রেষ্ঠ ওসি-তদন্ত শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (ওসি-অপারেশন) আবুল কালাম আজাদকে শ্রেষ্ঠ ওসি-অপারেশনের পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ ছাড়া মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মধ্যে ডিবি দক্ষিণ বিভাগকে শ্রেষ্ঠ বিভাগ, দক্ষিণের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (এসি) আরাফাত রহমানকে শ্রেষ্ঠ এসি, ট্রাফিকের মধ্যে দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগকে শ্রেষ্ঠ বিভাগ এবং কোতোয়ালি জোনের ট্রাফিকের অ্যাস্ট্যিান্ট কমিশনার (এসি) ফাতেমাকে শ্রেষ্ঠ এসি হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়। গত ফেব্রæারি মাসে ঘটে যাওয়া ক্রাইম নিয়ে ডিএমপির ৪৯টি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও ওসি-তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে শনিবার সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এ কনফারেন্স চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন