মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শ্রীনগরে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিএনপি প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার

প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : শ্রীনগরে ইউপি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে লিয়াজোঁ করার অভিযোগ উঠেছে। ইউপি নির্বাচন নিয়ে উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নে এখনো পর্যন্ত কোন মামলা-হামলার ঘটনা না ঘটলেও ওই ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইটালী প্রবাসী মো. জুলহাস উদ্দিন ইতোমধ্যে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন। রিটার্নিং অফিসার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এলিজ ফারজানা মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফলে ওই ইউনিয়নে আর কোন প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজিজুল ইসলামের চেয়ারম্যান হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। ষোলঘর ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতা জানান, এ ঘটনায় সর্বত্র বইছে আলোচনার ঝড়। তারা জানায়, শ্রীনগরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই উপজেলা বিএনপির বিবদমান দু’গ্রæপের মধ্যে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। পরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ মমিন আলী গ্রæপ সমর্থিত প্রার্থী ইটালী প্রবাসী জুলহাস উদ্দিন ওই ইউনিয়নে বিএনপির টিকিট পান।
এ ইউনিয়নে বিএনপির টিকিট পাওয়ার জন্য প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিলেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি কাজী শামীম ঈমাম সাচ্চু। মনোনয়ন দৌড়ে জুলহাস উদ্দিন ও সাচ্চুর জন্য বিএনপির দু’গ্রæপের লবিং চলে। মনোনয়ন জমা দানের শেষ দিনের আগের রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে অনেক বাক-বিতÐার পর মমিন আলী গ্রæপের জুলহাস উদ্দিনের টিকিট নিশ্চিত হয়। পরদিন উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে ইউনিয়নব্যাপী প্রচারণায় নামেন। নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন ঢাকার বংশালের মোটর পার্টস ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজিজুল ইসলাম। জুলহাস উদ্দিন কিছুদিন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে হঠাৎ করে গত ৯ মার্চ চুপিসারে আওয়ামী প্রার্থীর সাথে ৬০ লাখ টাকায় লিয়াজোঁ করে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদনপত্র জমা দেন। ষোলঘর ইউনিয়ন বিএনপির একটি সূত্র জানায়, লিয়াজোঁর এ কাজে মূল ভূমিকা পালন করেছে জুলহাস উদ্দিনের আপন ভাই ইউনিয়ন বিএনপিসাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন দেওয়ান। সূত্রটি জানায়, চুক্তির ৬০ লাখ টাকার মধ্যে নজরুলের হাত ধরে ৩০ লাখ টাকা গত ৯ মার্চ লেনদেন হয়েছে। টাকা লেনদেন করে নজরুল ওই দিনই মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায়। বাকি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন হবে ১৩ মার্চ রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর। ইউনিয়ন বিএনপির অনেক প্রবীণ নেতা সাংবাদিকদের কাছে বলেন, জুলহাস উদ্দিন মূলত ইতালী প্রবাসী। সে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মাত্র। ৫-৬ বছর পর পর দেশে আসায় তার পরিচিতিও কম। তারপরও টাকার জোরে সে বিএনপির মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বইছে নিন্দার ঝড়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ মমিন আলী বলেন, টাকা নেয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘটনায় আমরা বিব্রত।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন