শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

শরণার্থীরা বিকল্প পথের সন্ধানে শরণাপন্ন হচ্ছে পাচারকারীদের

প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বিকল্প পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে অভিবাসন প্রত্যাশী অনেকেই শরণাপন্ন হচ্ছে পাচারকারীদের। প্রতিবেশী দেশগুলোতে কড়াকড়ি আরোপ করেও শরণার্থী ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। এর মধ্যেই প্রতিদিন চুপিসারে চলছে পাচারকারীদের সীমান্ত পারাপার বাণিজ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঙ্গেরিতে শরণার্থীদের চাপই প্রমাণ করে, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের মাধ্যমে শরণার্থীদের পরিচিত গতিপথ বন্ধ করা সম্ভব হলেও হাল ছাড়ছে না তারা। বরং, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পথ খুঁজে ঠিকই এগিয়ে যাচ্ছে পশ্চিম ইউরোপের গন্তব্যের দিকে। গত কয়েক সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে হাঙ্গেরি সীমান্তে গ্রেপ্তারকৃতদের সংখ্যা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে গ্রেপ্তার হয় প্রায় আড়াই হাজার শরণার্থী। বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ থেকে বাঁচার আশায় মানুষগুলো ইউরোপে পাড়ি দেয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত। যেভাবেই হোক অন্তত বোমার আঘাত থেকে জীবন বাঁচাতে হবে। এভাবেই হাজার হাজার মাইল পথ পেরিয়ে পশ্চিম ইউরোপের পানে ছুটছে মানুষ। এ মানুষগুলোই হচ্ছে অভিবাসন প্রত্যাশী শরণার্থী। কিন্তু শরণার্থীদের পশ্চিম ইউরোপে পৌঁছতে তখন প্রধান বাধা ছিল প্রকৃতির প্রতিকূলতা। কারণ, তীব্র শীত আর তুষার ঝড়ের মধ্য দিয়ে পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তাদের। কিন্তু না, বর্তমানে তার সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে মানবসৃষ্ট ১৩ ফুট ঘন কাঁটাতারের বেড়া। সেই সঙ্গে আছে, পুলিশের লাঠিপেটা ও টিয়ার গ্যাসের হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তে কঠোর বিধিনিষেধের পরও হাঙ্গেরিতে শরণার্থীর স্রোত প্রমাণ করে, মানুষ পশ্চিম ইউরোপে যেতে কতটা মরিয়া। ২২ বছর বয়সী আফগান যুবক, মুসা জাবার-খেল জানালেন তার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা। হাঙ্গেরি সীমান্তে পৌঁছার পর পুলিশের ভর্ৎসনার শিকার হন তিনি। তাকে দেখেই এক পুলিশ সদস্য তেড়ে আসে। সে বলতে থাকে, চলে যাও। আমরা শরণার্থীদের পছন্দ করি না। তোমাদের ঘৃণা করি। প্রথমে হাঙ্গেরির পক্ষ থেকে সীমান্তে কড়াকড়ি শুরু হলেও প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এখন চলছে অনুপ্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা। আর এ পরিস্থিতিতে শরণার্থীরা আবার ফিরে আসছে হাঙ্গেরি সীমান্তেই। ওখান থেকেই আকুতি একটু আশ্রয়ের। গত বুধবার ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ঘোষণা করেছেন, ইউরোপগামী শরণার্থীদের মূল গতিপথ বন্ধ করা গেছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেসিডোনিয়া, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও সস্নোভেনিয়া তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ইউরোপের পাসপোর্ট ছাড়া কেউ এসব সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবে না। নতুন এই পদক্ষেপের কারণে দক্ষিণ গ্রিসে বর্তমানে আটকা পড়েছে ৩০ হাজার শরণার্থী। ওয়াশিংটন পোস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন