বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শাহজালালের নিরাপত্তায় জোড়াতালি

দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ : বিমানবন্দর ফল ও সবজির স্তূপ

প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নিরাপত্তার অজুহাতে এখন আন্তর্জাতিক অবরোধের মুখে পড়তে যাচ্ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এ বিমানবন্দরটি নিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচনার ঝড় বইছে। যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো বিমান পরিবহন বন্ধ করে দেয়ার কারণে এ প্রশ্ন সর্বত্র ঘুরপাক খাচ্ছে। পোশাক শিল্পের মালিকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, বাংলাদেশ কি আন্তর্জাতিক অবরোধে পড়তে যাচ্ছে? অন্যদিকে একাধিক রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী বলছেন, জোড়াতালি দিয়ে চলছে সিভিল এভিয়েশন নিরাপত্তা বিভাগ ও শাহজালাল বিমানবন্দর। দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবলের অভাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কার্গো ভিলেজ, কার্গো কমপ্লেক্সসহ পুরো এলাকা এখন নিরাপত্তাহীন। আর এ নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আকাশপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একের পর এক বন্ধ হচ্ছে বিমানের রুট। আন্তর্জাতিক খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে না পারলে এ কারণে ভয়াবহ সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সমস্যা দ্রুত নিরসন হবে। এ জন্য বিভিন্ন পক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি দেয়া হচ্ছে। চিঠিতে যেসব বিষয় (ইনপুট) চেয়েছিল মন্ত্রণালয়, তা সরবরাহ করা হয়েছে। এটি এখন প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনায় রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে এবং নিচ্ছে তা তুলে ধরা হচ্ছে। সেখানে কার্গো পরিবহনে ব্রিটেন যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা প্রত্যাহারের কোনো অনুরোধ থাকছে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি অনুরোধ জানাতে পারেন। ৩১ মার্চের মধ্যে দুই দেশের ঐকমত্যে গৃহীত কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু না হলে ব্রিটেন পরবর্তী সময়ে যাত্রীবাহী ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আভাস দিয়েছে। ওই ডেটলাইন বা সময়সীমা বাড়ানোর কোনো অনুরোধ চিঠিতে থাকছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী ‘বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনাধীন’ বলে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
এদিকে একাধিক ব্যবসায়ী বলেছেন, সিভিল এভিয়েশনের অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষুণœ হচ্ছে। এভিয়েশন প্রশাসনের অদক্ষ ও অর্থব শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের কারণে ভয়াবহ বিপদের মুখে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য কার্গো বিমান প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ার পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখন নতুন এক আতঙ্কের নাম শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা এমন অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, এ পরিস্থিতি হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়নি। বারবার তাগাদা দেয়ার পরেও সিভিল এভিয়েশন বিষয়টি তেমন আমলে নেয়নি।
এদিকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় দুই দিন ধরে একটু নড়েচড়ে বসেছে। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ করে চলছে। তাদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত নিরাপত্তাসংক্রান্ত সকল জটিলতা সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এ জন্য আজ রোববার মন্ত্রণালয় ও সিভিল এভিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি দলের সাথে পর্যায়ক্রমে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে বিমান মন্ত্রণালয় গতকাল ইনকিলাবকে জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি এ সংকট কেটে যাবে। এ জন্য সিভিল এভিয়েশনের প্রশাসনকেও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। চেয়ারম্যান পদে দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজানো হবে।
অভিযোগ রয়েছে, শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার নামে জগাখিচুড়ির এক বিশেষ নতুন নিরাপত্তা বাহিনী গঠন এবং বিমানবন্দরে যাত্রীদের আত্মীয়স্বজন ও দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া ছাড়া ভালো কোনো কাজের নজির সৃষ্টি করতে পারেনি বর্তমান সিভিল এভিয়েশন প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান সানাইর হকের ব্যর্থতার বিষয়টি বারবার সমালোচনা করা হচ্ছে।
সিভিল এভিয়েশনের একাধিক সূত্র জানায়, সিভিল এভিয়েশনের বর্তমান চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল সানাউল হক ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলের প্রস্তাবকে যথাযথভাবে গুরুত্ব দেননি। নিরাপত্তার জন্য বিমানবন্দরে যেভাবে নিরাপত্তা দলকে ঢেলে সাজানোর কথা ছিল তা তিনি করতে পারেননি। বরং তিনি উল্টো তাদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এতে করে তারা আরো ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য তিনি এমন কিছু করেছেন কিনা তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলের বেঁধে দেয়া শর্ত মোতাবেক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না করেই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন। নিরাপত্তা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি স্থাপন না করেই তিনি মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছেন। এমনকি নিজেকে জাহির করার জন্য কিছুদিন আগে সংবাদ কর্মীদের দাওয়াত দিয়ে তার দপ্তরে নিয়ে যান। তখন তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দেখে ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল নাকি খুবই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো বলে তিনি প্রচার করেন। কিন্তু কেন তিনি এমন প্রচারণা চালিয়েছিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমানবন্দরের মতো একটি স্পর্শকাতর এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে কেন মিথ্যা তথ্য দিলেন এ ব্যপারে জরুরি তদন্ত প্রয়োজন।
অভিযোগ রয়েছে, সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ না দিয়ে তাদের পাশ কাটিয়ে একটি বিশেষ বাহিনী গঠনের জন্যও তৎপর রয়েছেন তিনি। এত করে সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে কার্যত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা মূলত ভেঙে পড়েছে, যা গত কয়েক মাস ধরে ব্রিটিশ অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্বচক্ষে অবলোকন করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলেই সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান সানাউল হক কোনো মন্তব্য করত রাজি হননি।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, সরকার যুক্তরাজ্যের এ সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক মনে করলেও প্রকৃতপক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক মানের নয়। যুক্তরাজ্য বারবার তাগিদ দিলেও সিভিল এভিযেশন সে ঘাটতি পূরণে পাঁচ মাসেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। গৃহীত পদক্ষেপ বলতে বিমানবাহিনী, আনসার ও পুলিশ থেকে ধার-কর্জ করে নেয়া ২৫০ জনের একটি যৌথবাহিনী মোতায়েন। এছাড়া কনকর্স হল বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়েনি। এতে করে বিমানবন্দরের বাইরে হাজার হাজার দর্শনার্থী প্রতিদিন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকাটাও এক ধরনের নিরাপত্তা হুমকি বলে মনে করছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। এমনকি যুক্তরাজ্য সরাসরি কার্গো ফ্লাইট বন্ধ হবার পরও টনক নড়েনি সিভিল এভিয়েশনের।
এদিকে গত শুক্র ও শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্স ও কার্গো ভিলেজে শত শত কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি পণ্য আটকা পড়ে আছে। খোলা আকাশের নিচে ফলমূল, কাঁচামাল ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন মালামাল স্তূপ আকারে পড়ে আছে। কার্গো ভিলেজের পশ্চিম পাশের এয়ারসাইট পরিদর্শনের সময় দেখা যায়, সেখানে এখনো হাজার হাজার লাগেজের স্তূপ পড়ে আছে, যা রীতিমতো নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি মনে করে যুক্তরাজ্য।
সরেজমিনে পরিদর্শনের সময় দেখা যায়, রফতানি কার্গো ভিলেজের পশ্চিম পাশের খোলা আকাশের লাগেজের স্তূপ ছড়াতে ছড়াতে এয়ারসাইট পর্যন্ত ঠেকেছে। এসব কার্গো স্থানান্তরের কাজে জড়িত কাস্টমস ও ফ্রেইট ফরোয়াডের নিযুক্ত বহিরাগত শ্রমিক যারা সরকার নামে পরিচিত তার অবাধে এয়ারসাইট পর্যন্ত যাতায়াতের করওেছ। এয়ারসাইট থেকে অবাধে রানওয়ে বা আরও স্পর্শকাতর এলাকায় যাবার সুযোগ থাকে তাদের যা নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকিস্বরূপ।
এ বিষয়ে গত নভেম্বরে যুক্তরাজ্যের প্রথম গোয়েন্দা টিম কার্গো পরিদর্শনের পর কিছু পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশমালা তৈরি করে। তখন সিভিল এভিয়েশন ওই টিমকে এমন কিছু তথ্য দেয় যা পরবর্তীতে মিথ্যা বলে প্রতীয়মান হয়।
সুত্র জানায়, ১৯৪৮ সালের অর্গানোগ্রাম এর নিয়োগ বিধির পর নতুন কোন নীতিমালাও কার্যকর করা হয়নি। র্দীঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে জনবল নিয়োগ। দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি চৌকস নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ ছাড়া এ সমস্যা সমাধান হবে না বলেও কেউ কেউ অভিমত দিয়েছেন।
এদিকে একাধিক সূত্র জানায়, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম সানাউল হককে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরীকে সিভিল এভিয়েশনের নতুন চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে তিনি যোগদান করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যুক্তরাজ্যে আমাদের কার্গো বিমান সরাসরি যেতে না পারলে প্রথমত, আমাদের ইমেজের জন্য বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ কোটি ডলারে যাওয়া তো দূরে থাক, বিদ্যমান বাজার ধরে রাখাই কঠিন হয়ে পড়বে। এছাড়া যুক্তরাজ্যের এমন সিদ্ধান্তের প্রভাব ফেলতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশগুলোতেও। তা হলে, ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে পুরো রফতানি খাত। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্যে পণ্য পাঠাতে না পারলে তা সিঙ্গাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড ও দুবাই হয়ে পাঠাতে হবে। এতে খরচ বাড়বে, সময়ও বেশি লাগবে। ফলে বিশ্ববাজারে আমাদের প্রতিযোগী সক্ষমতা কমবে। তিনি বলেন বাংলাদেশ কি আন্তর্জাতিক অবরোধের মুখে পড়তে যাচ্ছে। যাদের গাফিলতির জন্র এমটি হতে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
পোষাক শিল্পের মালিকেরা বলছেন, ঢাকার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো বিমান চলাচলে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের তৈরি পোশাক খাত। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। চলতি বছর যুক্তরাজ্যে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সাড়ে ৩০০ কোটি ডলারের।
রফতানিকারকরা বলছেন, রফতানিমুখী খাতগুলো এখনও বহুমুখী হয়ে উঠতে পারেনি। মোট রফতানি আয়ের ৮২ শতাংশের উৎস তৈরি পোশাক। পণ্যটির রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলেই সামগ্রিক রফতানি খাতের এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের ৮ মাসে তৈরি পোশাক থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৮১২ কোটি ৭০ লাখ (১৮.১২ বিলিয়ন) ডলার, যা মোট রফতানির ৮২ শতাংশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন