বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

পেসারদেরও সম্ভাবনা দেখছেন লায়ন

উইকেট নিয়ে অন্ধকারে অস্ট্রেলিয়া

| প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঢাকায় এসেছে এক সপ্তাহেরও বেশি। তবে গতকালই প্রথমবারের মত শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের মূল মাঠে অনুশীলন করেছে অস্ট্রেলিয়া দল। দুটি উইকেটই এদিন খোলা ছিল। কোচ ড্যারেন লেম্যান, অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ, সহকারী ডেভিড ওয়ার্নার, তুর্কি অলরাউন্ডার গেøন ম্যাক্সওয়েল, স্পিনার নাথান লায়নরা সময় নিয়ে, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরখ করলেন উইকেট। উইকেটের মুখ দেখতে পেলেও আদৌ তা কাজে লাগবে কিনা, জানা নেই অস্ট্রেলিয়ানদের। দুটির কোনটিতে হবে প্রথম টেস্ট, নাকি অন্য কোনো উইকেটে, তাদের বলেনি কেউ। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া দল আছে বেশ একটা ধাঁধায়।
স্বাগতিক দেশ হিসেবে উইকেট নিয়ে রহস্যটা অনুমিতই। পার্থক্যটা হলো, বাংলাদেশ একসময় রহস্যটা রাখতে পারত না, এখন পারছে! পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছে গিয়েছিলেন নাথান লায়ন। উইকেট নিয়ে মুখ খোলেননি বাংলাদেশ কোচও। লায়ন বললেন, উইকেট নিয়ে এখনও তারা অন্ধকারে। আগের রাতে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের এক অনুষ্ঠানে হাথুরুসিহের সঙ্গে কথা বললেও মেলেনি উত্তর, ‘আজ (গতকাল) উইকেট দেখেছি, তবে ঠিক নিশ্চিত নই কী প্রত্যাশা করা যায়। গত রাতে বাংলাদেশ কোচ চান্দির সঙ্গে কথা বলছিলাম আমি, নিউ সাউথ ওয়েলসে কোচ ছিলেন তিনি। আমাকে তিনি এটা পর্যন্ত জানায়নি যে কোন উইকেট খেলা হবে।’
যে দুটি উইকেট খোলা ছিল, তার একটি ছিল বেশ শুষ্ক। বুটের চিহ্নও ছিল, তার মানে ব্যবহৃত উইকেট। অন্য উইকেট ছিল বেশ ঘাসে ঢাকা। তবে এই দুটি বা অন্য যে উইকেটেই খেলা হোক, উইকেট নিয়ে যতোই থাকুক রহস্য, নিজেদের করণীয়টা জানেন লায়ন, ‘এটুকু অন্তত আমরা জানি যে পেস বান্ধবের চেয়ে উইকেট স্পিন বান্ধব হবে বেশি। যত দ্রæত সম্ভব তাই মানিয়ে নিতে হবে। দেশে আমরা যেরকম উইকেটে খেলি, অবশ্যই তার চেয়ে আলাদা হবে। আমাদের তাই মানিয়ে নিতে হবে এবং খেলতে হবে। ব্যস।’
লড়াইটা যতটা মাঠের, তার চাইতে ঢের বেশি মনস্তাত্বিকও বটে। উইকেট-কন্ডিশন তো স্পিনারদের পক্ষেই। ঘূর্ণিপাকে ফেলবার যে মূলমন্ত্র এঁকেছে বাংলাদেশ সেটা জানা আছে লায়নেরও। স্পিন নিয়ে প্রশ্নের ডালা সাজানোর ফাঁকে নাথান লায়ন মনে করিয়ে দিলেন, অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণও কিন্ত কম যায় না! গত ইংল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতাও এখনও সুদূর অতীত নয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আবহ সঙ্গীত যেন আসলে স্পিনারদেরই জয়গান। তবে স্পিনারদেরই একজন, অস্ট্রেলিয়ার স্পিন আক্রমণের মূল ভরসা লায়ন জানালেন, নিজেদের পেস আক্রমণও বড় ভরসা তাদের, ‘স্কোয়াডে খুব ভালো তিনজন ফাস্ট বোলার আছে আমাদের, জশ হেইজেলউড, প্যাট কামিন্স ও জ্যাকসন বার্ড। এই কন্ডিশনে বল মুভ করাতে পারে তিনজনই। শ্রীলঙ্কায় ও ভারতে আমরা সেটি দেখেছি। আমার মনে হয় না, বাংলাদেশে ভিন্ন কিছু হবে।’
এই বছর ভারতের উইকেট-কন্ডিশনেও বেশ বাউন্স আদায় করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা। কন্ডিশন পেস বান্ধব না হলেও সেটিকে কজে লাগানোর স্কিল তাদের আছে। নতুন-পুরোনো বল মুভ করানো, বাটসম্যানকে বেকায়দায় ফেলার মত বাউন্স বা রির্ভাস সুইং, সবই পারেন হেইজেলউড-কামিন্সরা। স্কিলফুল এই পেসারদের সঙ্গে জুটি বেঁধে শিকার ধরতে চান লায়ন, ‘আমাদের ব্যাপারটি হবে জুটি বেঁধে বোলিং করা। একসঙ্গে মিলে প্রতিপক্ষের ২০টি উইকেট নিতে চাই আমরা। এটি ‘আমি বনাম কেউ’ ধরনের লড়াই নয়। দলীয় খেলা, দল হিসেবেই আমরা ২০ উইকেট নিতে চাই।’
সাকিব আর হাসানের সঙ্গে তো অ্যাশটন অ্যাগারের তুলনাই হয় না। লায়ন যেমন অভিজ্ঞতায় যোজন যোজন এগিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের চেয়ে। স্পিন আক্রমণে কে এগিয়ে? যদি তাই হয়, তবে আমাদের মুস্তাফিজ, তাসকিনরা তো আছেই!

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন